বিগত কয়েক বছর থেকে বিভিন্ন স্কুলে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাশ ফেল তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে এই পাশ ফেল তুলে নেওয়ার নিয়ম ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব করার পর সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। যদিও এই নিয়ম পশ্চিমবঙ্গে শুরু হবে কিনা তার কোনরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। তবে কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে শিক্ষক থেকে শুরু করে সমস্ত পড়ুয়াদের মধ্যে জল্পনা চলছে।
কেন্দ্রের প্রস্তাব
কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক একটি প্রস্তাব দেয় ২০২৩ সালে ডিসেম্বর মাসে। যেখানে বলা হয়েছে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাশ ফেলের নিয়ম পুনরায় চালু করার কথা। তবে এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী পড়ুয়াদের বার্ষিক পরীক্ষার নির্দিষ্ট নম্বর অর্জন করতে হবে তাহলে তারা করতে পারবে পাস এবং নতুন ক্লাসে ওঠার সুযোগ পাবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন যে ২০১৯ সালে প্রকাশিত কেন্দ্রীয় গ্যাজেট অনুযায়ী এই নিয়ম চালু করার কথা ছিল। তবে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। রাজ্যে নতুন শিক্ষা বর্ষ শুরু হলেও এই নিয়ম কার্যকর করার বিষয়ে এখনো কোনো রকম নির্দেশিকা জারি করা হয়নি।
পড়ুয়াদের বক্তব্য
এই নতুন নিয়মের কথা শুনে পড়ুয়াদের মধ্যেও নানা রকম প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কিছু কিছু পড়ুয়ারা মনে করছে পাশ ফেল নিয়ম শুরু হলে পড়াশোনার মান উন্নত হবে, তবে অনেকের মনে এই নিয়ে উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে।
শিক্ষকদের মধ্যে উদ্বেগ
নতুন নিয়মের কথা শুনে শিক্ষকদের মধ্যেও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষকদের মতে যদি পাশ ফেল নিয়ম চালু করতে হয় তবে তার জন্য সঠিক সময় সঠিক নির্দেশিকার প্রয়োজন। যেমন এই নিয়ম চালু হলে বছরের শুরুতে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে এবং বছরের মাঝামাঝি নির্দেশিকা এলে তা কার্যকর করা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। যে কোন নিয়ম কার্যকর করতে হলে তার জন্য উপযুক্ত পরিকল্পনা এবং সঠিক সময় নির্দেশিকার প্রয়োজন হয়। যদি সেই সময়ে না হয় তাহলে পড়ুয়াদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও নানারকম সমস্যায় পড়ে।
বাংলা শিক্ষা পোর্টালের পরিবর্তন
যদি রাজ্যে পাশ ফেল চালু হয় তাহলে মনে করা হচ্ছে যে রাজ্যে শিক্ষা পোর্টালের বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। তবে এই পাশ ফেল উঠিয়ে নেওয়া নিয়ে এখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোনরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এই নিয়ম আদৌ চালু হবে কিনা কিংবা চালু হলে কবে থেকে চালু হবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য মেলেনি।
তবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় শিক্ষক এবং পড়ুয়ারা উভয়েই অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। তবে একাংশ মনে করছে যে পাশ ফেল উঠিয়ে দিলে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার মান উন্নত হবে। এখন এটাই দেখার পালা যে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের এই প্রস্তাবকে কিভাবে বাস্তবায়িত করে।
অমিত ডেইলি খবর বাংলার প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। পশ্চিমবঙ্গের এবং ভারতের সংবাদ সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পরিবেশন করতে অমিত সর্বদা উদ্যমী। সংবাদ সংগ্রহ এবং তা পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রতি তার আগ্রহ এবং নিষ্ঠা এই প্ল্যাটফর্মকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সেরা এবং নির্ভুল খবর প্রদানই তার প্রধান লক্ষ্য।