শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ছুটি বাতিল! মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নতুন নির্দেশিকা প্রকাশিত

Published on:

West Bengal education department notice on teacher leave

অমিত সরকার, কলকাতা: আমরা সকলেই জানি সরকারি চাকরি মানে আরামের চাকরি। আরাম বলতে সরকারি কর্মীদের নানারকম উৎসব পার্বণের জন্য শুধু ছুটি আর ছুটি! এছাড়া ব্যক্তিগত কারণে তারা ছুটি নিতে পারে। তবে এবার শিক্ষকদেরও ছুটি নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। রাজ্যের সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ে কোন ছুটি নিতে পারবে না।

শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের ছুটি বাতিল!

এবার রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের জন্য রয়েছে দুঃসংবাদ। কারণ তারা মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন কোন ছুটি নিতে পারবে না শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে শুরু করে শিক্ষা কর্মীরাও। আজ বুধবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে যে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে যে স্কুলগুলো পরীক্ষা কেন্দ্র হবে সেখানে যথাযথ কারণ ছাড়া কাউকে ছুটি দেওয়া হবে না সে ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকা হোক বা শিক্ষাকর্মী হোক। তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে এই নিয়মে ছাড় পাওয়া যাবে।

ছুটি পাবার শর্ত

তবে কেউ যদি ছুটি চায় পরীক্ষা চলাকালীন তাহলে তাকে বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে। যেমন কর্মীদের সন্তান যদি মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী হয় তাহলে ছুটি পাওয়া যাবে। তবে এই ছুটি পাওয়ার জন্য ছুটির আবেদনের সাথে পরীক্ষার রুটিন থেকে শুরু করে এডমিট কার্ডসহ প্রয়োজনীয় নথি জমা করতে হবে। এছাড়া মা এবং বাবা দুজনেই যদি শিক্ষকতার পেশা সঙ্গে যুক্ত থাকেন বা শিক্ষা কর্মী হন তাহলে যে কোন একজন ছুটি পাবে। এছাড়া পরীক্ষার সময় যদি ছুটির প্রয়োজন হয় তাহলে তাদের কমপক্ষে তিন সপ্তাহ আগে থেকে আবেদন করতে হবে। যদি কোন শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীর সন্তান পরীক্ষার্থী হয় আর তারা ছুটি পায় তাহলে সে শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীদের কোনরকম প্রশ্নপত্র বিতরণ বা প্যাকেট খোলার কাজ দেওয়া হবে না।

বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির প্রতিক্রিয়া

পর্ষদের পক্ষ থেকে প্রকাশিত নির্দেশিকা দেখার পর বঙ্গীয় শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন বসু জানিয়েছেন যে পর্ষদের নির্দেশ অনুযায়ী সন্তান প্রতিপালনের জন্য ছুটির কথা বলা হয়েছে। তবে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন বা কোন কারনে দুর্ঘটনাগ্রস্থ হন তাহলে কি হবে? এক্ষেত্রে স্পষ্ট করে নির্দেশিকা জারি করলে ভালো হয়। আমরা অহেতুক ছুটি নেওয়ার বিপক্ষে। তবে নির্দেশকে হাতিয়ার করে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা দমনপীড়ন চালাতে পারেন। সত্যিই তো যদি কোন শিক্ষক বা শিক্ষা কর্মী অসুস্থ হন তাহলে কি হবে তাদের?

Amit Sarkar

অমিত Daily Khabor Bangla ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি ৫ বছর ধরে সংবাদ জগতে কাজ করছেন এবং বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে লেখালেখির অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। বিশেষ করে দেশ, বিদেশ এবং সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে বিশ্লেষণ এবং লেখালেখি তাঁর প্রধান আগ্রহ। পেশার পাশাপাশি অমিত ভ্রমণ, বই পড়া এবং গান শুনতে ভালোবাসেন।