অমিত সরকার, কলকাতা: জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় চলে এসেছে তবুও দেখা নেই কনকনে শীতের। কবে যে জাঁকিয়ে পড়বে শীত তাও বলতে পারছে না আবহাওয়া দপ্তর। কনকনে ঠান্ডার পথে ভিলেনের মতো বারবার বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্জা। এমনকি পৌষের শেষ দিনে অর্থাৎ মকর সংক্রান্তির দিনেও তাপমাত্রা কমলো না বরঞ্চ উল্টো আরো দু-তিন ডিগ্রি বেড়ে গেল। তবে আজ বৃহস্পতিবার কিছুটা তাপমাত্রা কমল। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, আগামী বেশ কয়েকজন এইরকমই থাকবে তাপমাত্রা।
আসলে কখনো নিম্নচাপ আবার কখনো পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এসে বারবার উত্তুরে হওয়ার পথে বাধা দিচ্ছে। তাই চলতি মৌসুমে জাঁকিয়ে শীতের প্রভাব খুব একটা দেখা মিলছে না। হাওয়া অফিসের খবর অনুযায়ী আগামী কয়েক দিনের তাপমাত্রা খুব একটা ওঠা নামা করবে না। তবে চিন্তার কোন বিষয় নেই জানা গিয়েছে এই সপ্তাহের শেষে কিছুটা ঠান্ডা পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়াবিদরা। কারণ সম্প্রতি আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে খবর পাওয়া গেছে যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত, যার ফলে উত্তুরে হওয়ার প্রবেশে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আর অন্যদিকে বাড়ছে পূবালী হাওয়ার দাপট যার ফলে বঙ্গে শীতের প্রবেশের ব্যাঘাত ঘটছে। তবে একটা ভালো বিষয় যে দক্ষিণবঙ্গে কোন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই তবে সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় মেঘলা আকাশের দেখা মিলেছে। এবার দেখে নেব দুই বঙ্গের আবহাওয়া আগামীকাল কেমন হবে?
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
আবহাওয়া সূত্রে জানা গেছে আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার আবহাওয়া নাকি শুষ্ক থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আজ মেঘলা আকাশ থাকলেও আগামীকাল দক্ষিণবঙ্গের প্রায় বেশিরভাগ জেলাতেই বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে আগামী শনিবার নাকি নতুন করে আবারো পশ্চিমী ঝঞ্জা ঢুকতে পারে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। তবে দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, ও মুর্শিদাবাদে ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে কালকে।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক, যেমন দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, এবং দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদা। কালকে কোথাও বৃষ্টি বা তুষারপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই তবে কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে আরো বেশি। ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। তাই এই ৫ জেলায় দৃশ্যমানতা ৫০ মিটার বা তার নিচে নেমে যেতে পারে। বাকি সব জেলাগুলিতে দৃশ্য মানতা নামতে পারে ২০০ মিটারের কাছাকাছি।