মাধ্যমিক পরীক্ষায় শিক্ষকদেরও মোবাইল নিষিদ্ধ! নজরদার শিক্ষকদের ওপরেও নজরদারি

Published on:

Madhyamik Exam 2025

অমিত সরকার, কলকাতা: এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য কিন্তু নতুন নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তার মধ্যে আরেকটি উল্লেখযোগ্য নির্দেশিকা হল মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন কোন নজরদারি শিক্ষক বা শিক্ষিকা সঙ্গে মোবাইল বা বৈদ্যুতিন কোন যন্ত্র রাখতে পারবেন না তারা।

সমস্ত নজরদারি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মোবাইল ফোন জমা রাখতে হবে ভেনু সুপারভাইজার বা ভেনু সেক্রেটারির কাছে। যদি পরীক্ষা চলাকালীন কোন শিক্ষক বা শিক্ষিকার কাছে মোবাইল রয়েছে বলে ধরা পড়ে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমনটাই জানিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

বুধবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন প্রতিটি কেন্দ্রের ভেনু সুপারভাইজার বা সেন্টার সেক্রেটারি নির্দিষ্ট কেন্দ্রের নজরদারি শিক্ষকদের নাম রেজিস্টারে লিখে রাখবেন। তারপর সেই রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী শিক্ষক শিক্ষিকাদের মোবাইল জমা রাখতে হবে, এবং সেই রেজিস্টার খাতায় তাদের মোবাইল নেই বলে লিখতে হবে। এতকিছুর পরেও যদি শিক্ষকদের কাছে কোন ফোন ধরা পড়ে তাহলে তারা তাদের বিরুদ্ধে অ্যাড হক কমিটি দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।

রামানুজের বক্তব্য

রামানুজ জানিয়েছেন যে মাধ্যমিক পরীক্ষার ডিউটি সময় সকাল ৯ ‘টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত। আর এই গোটা সময় কোন শিক্ষক শিক্ষিকারা নিজেদের কাছে মোবাইল রাখতে পারবেনা। তবে যারা নজর দেওয়ার শিক্ষক নন অথচ পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কোন ডিউটি করছেন তারাও কোনো রকম মোবাইল রাখতে পারবে না।

এডমিট কার্ডের সমস্যা

মঙ্গলবারে মধ্যশিক্ষা পর্ষদে কয়েকটি স্কুল প্রধান শিক্ষক এসে জানিয়েছেন যে তাদের স্কুলের কয়েকজন ছাত্রের নাম ভুলের কারণে এডমিট কার্ড পায়নি। আসলে যে ছাত্রের নামে এডমিট কার্ড আসার কথা ছিল, তার বদলে এডমিট কার্ড এসেছে এমন একজনের নামে, যার এবার পরীক্ষা দেওয়ার কথাই নয়।

দুজনের নাম একই হওয়ায় এই বিভ্রান্তি টি ঘটেছে। তো সেই সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে গিয়ে জানিয়েছেন যে এডমিট কার্ড যারা এখনো পায়নি তাদের এডমিট কার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে পর্ষদকে। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। তবে রামানুজ জানান যে স্কুল কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতিতেই এই ঘটনাগুলি ঘটেছে।

তিনি জানান যে নতুন করে এডমিট কার্ড দিতে গেলে আবারও অনলাইনের মাধ্যমে ফর্ম পূরণের পোর্টাল খুলতে হবে। যত সংখ্যক ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছে তাদের নামে খাতা প্রশ্ন উঠানো হয়ে গেছে, এমনকি পরীক্ষার বসার জায়গার বিন্যাসও ঠিক হয়ে গিয়েছে। ফেব্রুয়ারি ১০ তারিখ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু। এখন যদি আবার অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করে পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ে, তাহলে পুরো পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় আবার পুনর্গঠন করতে হবে। এই শেষ মুহূর্তে তা করা সম্ভব নয়।

Amit Sarkar

অমিত Daily Khabor Bangla ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি ৫ বছর ধরে সংবাদ জগতে কাজ করছেন এবং বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে লেখালেখির অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। বিশেষ করে দেশ, বিদেশ এবং সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে বিশ্লেষণ এবং লেখালেখি তাঁর প্রধান আগ্রহ। পেশার পাশাপাশি অমিত ভ্রমণ, বই পড়া এবং গান শুনতে ভালোবাসেন।