সুমি রায়, কলকাতা: আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট হলো ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ক্ষমতায় থাকাকালীন আমেরিকান প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঢিল ছুড়েছিলেন। এবার সেই ঢিলের জবাব দিতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাটকেল ফিরিয়ে দিলেন। অর্থাৎ ডোনাল্ড ট্রাম্প পূর্বের ঘটে যাওয়া কিছু ব্যাপারের প্রতিশোধ নিলেন।
আসলে ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ২০২১ সালে ট্রাম্পের নিরাপত্তার ছাড়পত্র তুলে নিয়েছিলেন। তারই প্রতিশোধ নিতে এবার ক্ষমতা দখলের পর বাইডেনের নিরাপত্তার ছাড়পত্র তুলে নিলেন। এর ফলে আমেরিকার গোপন তথ্যাবলী আর বাইডেন হাতে পাবেন না। তার কাছে আর কোন গোপন খবর পৌঁছবে না। ক্ষমতাচ্যুত হলেও প্রাক্তন প্রেসিডেন্টেরা এই সুবিধা পেয়ে থাকেন। ট্রাম্প যে প্রতিশোধ নিলো সে কথা তিনি অস্বীকারও করেননি।
ট্রাম্পের বক্তব্য
আমেরিকান বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজের সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন, “বাইডেনের গোপন তথ্য পাওয়ার আর কোনো প্রয়োজন নেই, আমরা তার এই সংক্রান্ত নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রত্যাহার করছি। প্রতিদিন তার কাছে যে খবরগুলি যেত তা আর তার কাছে যাবে না”। এটা লেখার পর তিনি আরো লিখেছেন এই উদাহরণটি তৈরি করেছেন বাইডেন নিজেই। ২০২১ সালে তিনি আমার নিরাপত্তা ছাড়পত্র তুলে নিয়েছিলেন। গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আমাকে যেন জাতীয় নিরাপত্তার আর কোনো খবর না দেওয়া হয়।”
কেন ট্রাম্পের ছাড়পত্র তুলে নিয়েছিল?
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় ২০২১ সালে আমেরিকায় ক্যাপিটাল হামলার ঘটনার পর ট্রাম্পের নিরাপত্তা ছাড়পত্র তুলে নিয়েছিল বাইডেন। তখন বাইডেন বলেছিলেন “ট্রাম্পের আচরণ প্রমাণ করে তিনি আর গোপন গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার উপযুক্ত নন। তাই ওই ছাড়পত্র তুলে নেওয়া হচ্ছে।”
বাইডেনের ছাড়পত্র কেন তুলে নিলেন?
২০২৫ সালে ক্ষমতায় ফিরে ট্রাম্প তার নিজের সাথে হয়ে যাওয়া ঘটনার বদলা নিলেন। ট্রাম্প নিজের সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন, “বাইডেনের গোপন তথ্য পাওয়ার আর কোনো প্রয়োজন নেই, আমরা তার এই সংক্রান্ত নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রত্যাহার করছি। তিনি বাইডেনকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। তিনি সমাজ মাধ্যমে ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, “রিপোর্টে দেখা গিয়েছে বাইডেনের স্মৃতিশক্তি বেশ কম। গোপন তথ্য নিয়ে তাকে ভরসা করা যায় না। আমি আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তাকে সব সময় সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করব।” এছাড়া বাইডেনের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প সরাসরি বলেন জো তোমার সময় শেষ। আমরা আমেরিকাকে আবার মহান বানাবো। এভাবেই প্রতিশোধ নিলেন ট্রাম্প।