ভারতের ‘Operation Sindoor’-এ প্রথমবার ব্যবহৃত হলো Harpy drone, লক্ষ্য পাকিস্তান

Published on:

Harpy drone

অমিত সরকার, নয়াদিল্লি: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সম্প্রতি উত্তেজনা চরমে উঠেছে। জম্মু-কাশ্মীরের পাহালগামে জঙ্গি হামলার পাল্টা জবাবে ভারত “Operation Sindoor” নামে একটি সুপরিকল্পিত সামরিক অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানে ভারত ব্যবহার করেছে ইসরায়েলের অত্যাধুনিক হারপি ড্রোন, যা পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি রাডার ঘাঁটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেয়।

এই প্রযুক্তিগত সাফল্য ভারতের আধুনিক যুদ্ধ কৌশলে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং গোটা বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে।

Harpy drone কী?

হারপি (Harpy) হলো ইসরায়েলের IAI (Israel Aerospace Industries) দ্বারা তৈরি একটি “লোইটারিং মিউনিশন” বা আত্মঘাতী ড্রোন। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো:

  • এটি শত্রুর রাডার সিগন্যাল শনাক্ত করতে পারে।
  • লক্ষ্যবস্তুর চারপাশে চক্কর কাটতে কাটতে সঠিক সময়ে আঘাত হানে।
  • আক্রমণের সময় এটি নিজেকে বিস্ফোরণ করে টার্গেট ধ্বংস করে।

এই ড্রোনকে বলা হয় “রাডার খাদক” বা Radar Killer, কারণ এটি বিশেষভাবে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অকার্যকর করতে ডিজাইন করা হয়েছে।

অপারেশন সিন্দুরে হারপি ড্রোনের ভূমিকা

ভারতের বিমান বাহিনী এই ড্রোনগুলো ব্যবহার করে লাহোর, চোলিস্তান ও পাঞ্জাব প্রদেশের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাডার ঘাঁটি লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায়। গোয়েন্দা তথ্য অনুসারে, এই রাডার ঘাঁটিগুলোর মাধ্যমে পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো ভারতীয় বিমান চলাচল মনিটর করত এবং অস্ত্র পাচারের রুট নিয়ন্ত্রণ করত।

ভারতের এই আঘাতে:

  • একাধিক রাডার ও কমিউনিকেশন সিস্টেম ধ্বংস হয়েছে।
  • পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সাময়িকভাবে অকার্যকর হয়েছে।
  • জঙ্গিদের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটেছে।

এই পুরো অপারেশনের মূল লক্ষ্য ছিল শত্রুর চোখ ও কান অন্ধ করে দেওয়া—এবং সেই লক্ষ্য পূরণে হারপি ড্রোন অত্যন্ত কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া

পাকিস্তানের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা ভারতের ২৫টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ইসলামাবাদ এই হামলাকে “সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন” হিসেবে চিহ্নিত করে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে।

তবে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই দাবি নাকচ করে বলেছে, “অভিযান ছিল ১০০% সফল, এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত হানা হয়েছে।”

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও কূটনৈতিক চাপ

এই ঘটনার পরপরই আন্তর্জাতিক মহলে উত্তেজনা ছড়ায়। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ভারত ও পাকিস্তানকে সংযত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে কূটনৈতিক পর্যায়ে ভারতের অবস্থান বেশ দৃঢ়।

ভারত বলেছে, “এটি একটি প্রতিরক্ষামূলক কৌশল, যা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।”

Amit Sarkar

অমিত Daily Khabor Bangla ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি ৫ বছর ধরে সংবাদ জগতে কাজ করছেন এবং বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে লেখালেখির অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। বিশেষ করে দেশ, বিদেশ এবং সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে বিশ্লেষণ এবং লেখালেখি তাঁর প্রধান আগ্রহ। পেশার পাশাপাশি অমিত ভ্রমণ, বই পড়া এবং গান শুনতে ভালোবাসেন।