অমিত সরকার, কলকাতা: ছাত্রজীবনের শুরুর দিকে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হল মাধ্যমিক, তার পরে দ্বিতীয় বড় পরীক্ষা হল উচ্চমাধ্যমিক। এই উচ্চমাধ্যমিক দেওয়ার পরে ছাত্রছাত্রীরা ঠিক করে তারা পরবর্তী সময়ে কী নিয়ে পড়াশোনা করবে।
উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পরেই সবাই কলেজে ভর্তি হতে চায়, তবে অনেক সময় দেখা যায় অনেক ছাত্রছাত্রী অর্থের অভাবে নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে না। আর তাদের জন্যই রাজ্য সরকার, কেন্দ্র সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলির তরফে বেশ কিছু স্কলারশিপ চালু করা হয়েছে।
এই সমস্ত স্কলারশিপের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর পেলেই মোটামুটি স্টাইপেন্ড পেয়ে যায়, যা তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে খুবই সাহায্য করে। এবার আমরা দেখে নেব তোমাদের পরীক্ষা দেওয়ার পর ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সেরা পাঁচটি স্কলারশিপ।
নবান্ন স্কলারশিপ (Nabanna Scholarship)
নবান্ন স্কলারশিপ মূলত রাজ্য সরকারের। এটি রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী তহবিল থেকে গ্রামীণ ও দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হয়ে থাকে।
- এককালীন ১০,০০০ টাকা স্টাইপেন্ড পাওয়া যায়।
- মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকে ৫০ শতাংশের বেশি নম্বর পেলেই এই স্কলারশিপ পাওয়া যায়।
- পারিবারিক বার্ষিক আয় হতে হবে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মধ্যে।
স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ (SVMCM)
এই স্কলারশিপটি রাজ্য সরকারের দ্বারা প্রদত্ত এবং এটি অন্যতম জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য স্কলারশিপ।
- ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি বা পলিটেকনিক কোর্স করলে প্রতিবছর ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়।
- স্নাতক কোর্সের জন্য ১২,০০০ থেকে ১৮,০০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়।
- এই স্কলারশিপের জন্য উচ্চমাধ্যমিকে ন্যূনতম ৬০% নম্বর থাকতে হবে।
- পারিবারিক বার্ষিক আয় হতে হবে ২.৫ লক্ষ টাকার মধ্যে।
টাটা স্কলারশিপ (TATA Scholarship)
টাটা স্কলারশিপ মূলত টাটা গ্রুপের তরফে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হয়।
- প্রতিবছর ১০,০০০ থেকে ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত অর্থ সাহায্য করা হয়।
- মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকে কমপক্ষে ৬০% নম্বর থাকতে হবে।
- পারিবারিক বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার মধ্যে হতে হবে।
ন্যাশনাল স্কলারশিপ (National Scholarship)
এই স্কলারশিপ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেওয়া হয় এবং এটি দেশের সমস্ত রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য প্রযোজ্য।
- ১০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত স্টাইপেন্ড দেওয়া হয়।
- উচ্চমাধ্যমিকে ন্যূনতম ৫০% নম্বর থাকতে হবে।
- পারিবারিক বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার কম হতে হবে।
জিপি বিড়লা স্কলারশিপ (GP Birla Scholarship)
এটি একটি বেসরকারি স্কলারশিপ, যার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।
- সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত স্টাইপেন্ড দেওয়া হয়।
- এককালীন ৭,০০০ টাকা বই কেনার জন্য প্রদান করা হয়।
- উচ্চমাধ্যমিকে কমপক্ষে ৮৫% নম্বর থাকতে হবে।
- পারিবারিক বার্ষিক আয় হতে হবে ৩ লক্ষ টাকার মধ্যে।