অমিত সরকার, কলকাতা: ২০২৫ সালের ৭ মে, ভারতীয় বিমান বাহিনী (IAF) “অপারেশন সিঁদুর” নামে একটি সুনির্দিষ্ট সামরিক অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের ভূখণ্ডে অবস্থিত সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করা এবং তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অকার্যকর করে তোলা। মাত্র ২৩ মিনিটের মধ্যে এই অভিযান সম্পন্ন হয়, যা ভারতের সামরিক পরিকল্পনা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।
লক্ষ্যবস্তু ও হামলার কৌশল
অপারেশন সিঁদুরের আওতায় পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালানো হয়। এই হামলায় ব্যবহার করা হয় রাফাল যুদ্ধবিমান, SCALP ক্রুজ মিসাইল এবং হ্যামার বোমা। লক্ষ্যবস্তুগুলির মধ্যে ছিল বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, গুলপুর, ভিম্বার, চাক আমরু, বাঘ, কোটলি, সিয়ালকোট এবং মুজাফফরাবাদ। এই হামলায় প্রায় ১০০ সন্ত্রাসবাদী নিহত হয় বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
পাকিস্তানের চিনা-সরবরাহকৃত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ব্যর্থতা
পাকিস্তান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় চিনা-নির্মিত HQ-9 মিসাইল সিস্টেম এবং অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে। তবে, অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় বিমান বাহিনী এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলিকে সফলভাবে বাইপাস এবং জ্যাম করে দেয়। এই কৌশলগত সাফল্য পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা প্রকাশ করে এবং ভারতের প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দেয়।
আরও পড়ুন: IIT কানপুর থেকে UPSC চেয়ারম্যান, কে এই ড. অজয় কুমার?
ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার শক্তি
অপারেশন সিঁদুরে ভারতের বিভিন্ন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
- সুদর্শন চক্র (S-400): রাশিয়া থেকে আমদানিকৃত এই দীর্ঘ-পাল্লার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাকিস্তানের মিসাইল ও ড্রোন হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়।
- আকাশ মিসাইল সিস্টেম: ভারতীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত এই সিস্টেম পাকিস্তানের ড্রোন ও মিসাইল হামলা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- সামার (SAMAR) সিস্টেম: এই স্বল্প-পাল্লার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাকিস্তানের নিম্ন-উচ্চতার ড্রোন ও মিসাইল হামলা প্রতিহত করতে ব্যবহৃত হয়।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ প্রভাব
অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের সামরিক ক্ষমতা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের একটি স্পষ্ট বার্তা দেয়। চিনের জন্য এটি একটি সতর্কবার্তা, কারণ তাদের সরবরাহকৃত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ভারতের কাছে অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এই অভিযানের ফলে দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারতের প্রভাব আরও বৃদ্ধি পাবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।