অমিত সরকার, কলকাতা: পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই দক্ষিণ কাশ্মীরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালাতে নিরাপত্তা বাহিনী কয়েকটি এলাকা ফোকাস এরিয়া হিসেবে বেছে নিয়েছে। সেই অভিযানের ফলস্বরূপ গত তিন দিনে মোট ছয়জন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে, যার মধ্যে ছিল একাধিক বড় হামলায় যুক্ত কুখ্যাত জঙ্গি ‘শহীদ কুট্টে’।
কাশ্মীর পুলিশের আইজি ভিকে বিরদী জানান, সম্প্রতি জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধির কারণে বাহিনীর কৌশল পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “বিভিন্ন নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ের ফলেই দুটি বড় অভিযান সফল হয়েছে, এবং ছয়জন জঙ্গি নিকেশ হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “কাশ্মীরে যেকোনও জঙ্গি কার্যকলাপ রুখতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
কুট্টে জড়িত ছিল বড় হামলায়
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত জঙ্গিদের মধ্যে অন্যতম ছিল শহীদ কুট্টে। সে গত বছরের ১৪ই মে সুফিয়ানের হিরপোড়ায় এক পঞ্চায়েত প্রধানের উপর হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল। এছাড়াও, চলতি বছরের ৪ঠা এপ্রিল ডেনিস রিসোর্টে চালানো গুলিচালনার ঘটনায়ও কুট্টে জড়িত ছিল, যেখানে কয়েকজন জার্মান পর্যটক আহত হন।
আরও পড়ুন: ‘অপারেশন সিঁদুর’ কীভাবে সম্ভব হল? কেন্দ্র দিল চমকপ্রদ তথ্য
দুটি বড় অভিযান মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার দুটি পৃথক অভিযানে তিনজন করে ছয় জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। ভিক্টর ফোর্সের জিওসি মেজর জোশি বলেন, “পহেলগাঁও হামলার পর আমরা বেশ কিছু এলাকাকে ফোকাস এরিয়া হিসেবে চিহ্নিত করেছি। গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে বরফ গলার পর জঙ্গিরা উঁচু এলাকায় গিয়ে লুকিয়ে আছে।”
১২ মে রাতের অভিযান
১২ মে রাতে সুফিয়ানের কেল্লা এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে গোপন তথ্য পেয়ে বাহিনী সেখানে অভিযান চালায়। এলাকা ঘিরে ফেললে জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে, পাল্টা গুলিতে তিনজন জঙ্গি নিহত হয়।
জিওসি জানান, “জঙ্গিরা বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে গুলি চালিয়েছিল। আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, নিরীহ নাগরিক ও শিশুদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে আসা।”এরপর বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে আরও তিনজন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়। সেনার দাবি, অভিযান এখানেই শেষ নয় — যতক্ষণ না শেষ জঙ্গি নির্মূল হচ্ছে, ততক্ষণ অভিযান চলবে।