এবারে কলকাতা হাইকোর্ট আর একটি নতুন নির্দেশ দিল যা হলো রাজ্যের সমস্ত শিক্ষকদের নথি ডিজিটাল করতে বলেছেন হাইকোর্ট। সব শিক্ষক মানে সমস্ত শিক্ষক, প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষকদের নথি ডিজিটাল করতে হবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। নির্দেশে বলা হয়েছে ডিজিটাল নথি ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টালে তুলতে হবে। সেই নথি ডিজিটাল প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ করার জন্য ৪ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়েছে আদালত।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য স্কুলের শিক্ষকদের পড়ানোর বিষয়ে তাদের যোগ্যতা কতটা তা ছাত্রছাত্রী সহ অভিভাবকদেরও জানা উচিত কারণ অভিযোগ এসেছে বহু শিক্ষক শিক্ষিকারা তাদের যোগ্যতা ছাড়াই শিক্ষকতা করছেন এবং তারা স্কুলে নিযুক্ত হয়েছেন। সেই জন্য শিক্ষক শিক্ষিকার যোগ্যতা আসলে কি সরকারের পোর্টালে তা আপলোড করতে হবে। বর্তমানে শিক্ষা দপ্তরের অধীনে প্রায় ১.৬৪ লক্ষ শিক্ষক রয়েছে। এদের সকলের নথি ডিজিটাল করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: কলেজে ভর্তির অনলাইন পোর্টাল চালু! ক্লাস কবে থেকে শুরু?
আসলে মুর্শিদাবাদের গোথা হাই স্কুলে নিয়োগ কেলেঙ্কারের মামলায় বিচারপতি বসুর নির্দেশ ছিল ২০১১ থেকে ২০১৬ এর মধ্যে রাজ্যজুড়ে যত নিয়োগ হয়েছে সেসব খতিয়ে দেখে কোথাও যদি বেআইনি কিছু পেয়ে থাকে তার তদন্ত করবে সিআইডি। আদালতের আরো নির্দেশ ছিল যে কারো বিরুদ্ধে তদন্ত করে যদি কোন প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নিবে সেই সিআইডি। এইরকম নানা জায়গায় শুরু হয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ঝামেলা। তাই এবার কলকাতা হাইকোর্ট কড়া নির্দেশ দিয়েছে যে সমস্ত শিক্ষকদের নথি ডিজিটাল করতে হবে। আশা করা হচ্ছে শিক্ষকদের নথি ডিজিটাল করার পর অনেক সমস্যার সমাধান হবে।
ইন্দ্রাণী সংবাদ জগতে ৩ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বিশেষভাবে শিক্ষা এবং চাকরি সম্পর্কিত খবর তৈরি এবং পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে ভালোবাসেন। পাঠকদের শিক্ষামূলক ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত মূল্যবান তথ্য প্রদান করা তার প্রধান লক্ষ্য।