ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় চালু হতে চলেছে নতুন একটি কার্ড। যে কার্ডটির নাম হলো আপার (APAAR) কার্ড। এই APAAR কার্ডের পুরো নাম হলো অটোমেটিক পার্মানেন্ট একাডেমিক অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রি’। তবে কি এই কার্ড এই কার্ডটি ছাত্রছাত্রীদের কি সুবিধা দেবে এ সমস্ত বিষয় ডিটেলসে এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হলো।
আপার কার্ড বা অটোমেটিক পার্মানেন্ট একাডেমিক অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রি কার্ড এর মাধ্যমে শিশুর শৈশব জীবন থেকে শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। অর্থাৎ এই কার্ডের মাধ্যমে শিশু যতদূর পড়াশোনা করবে তার সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করা থাকবে। ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা সংক্রান্ত ডাটা কার্ডের মাধ্যমে উপলব্ধ হবে যে কোন সময়। এই কার্ডটি চালু হলে ছাত্রছাত্রীরা অনেকটাই ঝঞ্জাট মুক্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কার্ডটিতে কি কি তথ্য থাকবে
বর্তমানে যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা রয়েছে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র থেকে মানপত্র সমস্ত কিন্তু কাগজে-কলমে রয়েছে তবে এবার সেই তথ্যগুলি একটি ইউনিক আইডি নম্বর দিয়ে একটি কার্ডের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা সমস্ত ডাটা বহন করতে পারবে। সেই জন্যই তৈরি হতে চলেছে আপার কার্ড বা অটোমেটিক পার্মানেন্ট একাডেমিক অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রি। জানা যাচ্ছে ভারতের প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে এই কার্ডটি দেওয়া হবে। একজন ছাত্র বা ছাত্রীর সমস্ত পরীক্ষার ফলাফল, পারিবারিক বা অভিভাবক তথ্য, কতদূর লেখাপড়া করেছে তার তথ্য, খেলাধুলা, স্কলারশিপ, এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিস থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা শারীরিক তথ্য সমস্ত কিছু এই কার্ডের মধ্যে সংরক্ষিত থাকবে।
এই কার্ড তৈরীর মূল উদ্দেশ্য
সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন করে এই কার্ড বা আপার আইডি কার্ড তৈরির প্রধান উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীদের জন্য কেন্দ্রীভূত আধুনিক প্রযুক্তির তথ্য ভাণ্ডার। ছাত্র ছাত্রীরা লেখাপড়া থেকে চাকরি ক্ষেত্রে এই কার্ডটির মাধ্যমে সহায়ক হবে। এই কার্ড থাকলে নিয়োগ ক্ষেত্রে অনেক বেশি সুবিধা জনক হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীদের যোগ্যতা খুব সহজে চিহ্নিত করা যাবে। বিশেষ করে এই কার্ডের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্নীতি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া এই কার্ড ব্যবস্থা চালু হলে জাল সার্টিফিকেট বা জাল রেজাল্ট তৈরি সম্ভবনা কমে যাবে। সহজেই ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার ফলাফল থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই করা সম্ভব হবে। যদি কোন ছাত্র-ছাত্রী নাবালক হয় তাহলে এই কার্ডটি তৈরির জন্য তার বাবা অথবা মায়ের অনুমতি নিয়ে তৈরি করা হবে। আশা করা যাচ্ছে এই কার্ডটি তৈরি হলে শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেকটাই দুর্নীতি কমবে এবং ছাত্র-ছাত্রীদেরও অনেক সুবিধা হবে।
ইন্দ্রাণী সংবাদ জগতে ৩ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বিশেষভাবে শিক্ষা এবং চাকরি সম্পর্কিত খবর তৈরি এবং পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে ভালোবাসেন। পাঠকদের শিক্ষামূলক ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত মূল্যবান তথ্য প্রদান করা তার প্রধান লক্ষ্য।