আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ ম্যাচিওর ভাবে পরিচালনা করছে এবং তারা ভারতে আসতে চাইছেন না সেই কারণে ভারতীয়দেরও তাদের চলে আসার জন্য উৎসাহিত করা উচিত নয়। তিনি আরো বলেন যে বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওভারটাইম কাজ করছেন। আগে বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা এখানে চলে এসেছিল কিন্তু এখন যারা বাংলাদেশের বসবাস করছে তারা আসছে না বা আসতে চাইছে না। কারণ তারা ওখানে পরিপক্ক ভাবে বর্তমান পরিস্থিতি পরিচালনা করছে এবং তাদের দেশ ছেড়ে আসতে উৎসাহিত করা ভারতের লোকেদের একদমই উচিত নয়। এমনই কথা জানালেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী বুধবার সাংবাদিকদের কাছে।
গেল বছরে আগস্টে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসার পর বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় মানুষদের বাড়িঘর থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মন্দির সমস্ত কিছুতে হামলা করে যার খবর আমরা পেয়েছি। কিন্তু নয়া দিল্লি এসব ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং ঢাকাতে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।
তিনি আরো বলেছেন যে গত পাঁচ মাসে আসামে প্রায় ১০০০ এরও বেশি বাংলাদেশ এবং প্রতিবেশী ত্রিপুরায় সমসংখক বাংলাদেশের মানুষকে ধরা গেছে তবে তাদের কেউই বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু নয়। হেমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন বরং বাংলাদেশের টেক্সটাইল সেক্টরে কর্মরতরাই মূলত দেশের টেক্সটাইল শিল্পে চাকরির জন্য ভারতে আসছেন। তিনি আরো বলেন যে বাংলাদেশের অস্থিরতার পর সেখানে বস্তশিল্পে কার্যত ধ্বস নামে তাই ওসব শিল্পীর কর্মরত শ্রমিকরা কাজের সন্ধানে ভারতে আসতে শুরু করেছে তবে আমাদের দেশের অনেক বস্ত্রশিল্পের মালিক তাদের উৎসাহ দিতে শুরু করে এবং সস্তায় শ্রমিক আমদানির জন্য অর্থ ব্যয় করে। তবে উদ্বেগজনক বিষয় যে অতীতে কখনো কিন্তু এত অনুপ্রবেশকারীকে শনাক্ত করা হয়নি। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত যারা এখানে সংখ্যালঘু। আমরা তাদের গ্রেফতার করছি না তাদের দিয়ে আমরা আমাদের জেলখানা পূরণ করতে চাই না তাই তাদের আবার দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছি। তারা মূলত তামিলনাড়ু ও দক্ষিণ ভারতের অন্যান্য রাজ্যে কাজের সন্ধানে বেশি যাচ্ছে।
তাছাড়াও তিনি বাঁধ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সেটি হলো বহ্মপুত্রের ওপর চীনের প্রস্তাবিত বাঁধ । তিনি বলেন যে বাঁধ তৈরি হলে ব্রহ্মপুত্র শুকিয়ে যাবে এবং অরুণাচল প্রদেশ ও ভুটান বৃষ্টির উপর নির্ভর করবে। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই উদ্বেগ জানিয়েছি। তিনি আরো জানিয়েছেন যে আমরা জল সম্পর্কিত প্রকল্প, সড়ক ও রেল যোগাযোগ উন্নত করা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেছি। ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে আমাদের বিজনেস সামিটে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং ভুটানের রাজা আশ্বাস দিয়েছেন যে তিনি আবার আসাম সফর করবেন।
অমিত ডেইলি খবর বাংলার প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। পশ্চিমবঙ্গের এবং ভারতের সংবাদ সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পরিবেশন করতে অমিত সর্বদা উদ্যমী। সংবাদ সংগ্রহ এবং তা পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রতি তার আগ্রহ এবং নিষ্ঠা এই প্ল্যাটফর্মকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সেরা এবং নির্ভুল খবর প্রদানই তার প্রধান লক্ষ্য।