আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষের যেমন আধার কার্ড রয়েছে ঠিক তেমনভাবেই এখন আপনার জমির জন্য তৈরি হবে আধার কার্ড। অর্থাৎ জমিটিকে একটি ১৪ সংখ্যার অনন্য শনাক্তকরণ নম্বর দেওয়া হবে যাকে ভূ আধার ইউলপিন বলা হয়। বাজেটে জমি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি সংস্কারের অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকার গ্রামীণ এলাকার জমির জন্য অনন্য সনাক্ত করার নম্বর বা ভূ আধার প্রস্তাব করেছেন। যাতে করে জমির মালিকানা স্পষ্ট হবে এবং জমির অধিকার গুলি সহজেই যাচাই করা যাবে। সরকার কেন্দ্রীয় বাজেট 2027 সালের মধ্যে গ্রামীণ এলাকায় সমস্ত জমির প্লট গুলির জন্য আধার নামে একটি অনন্য সনাক্তকরণ নম্বরের বিধান ঘোষণা করেছে। বাজেটের দিন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তার বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় গ্রামীন এবং শহর উভয় ক্ষেত্রে এই ভূমি সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য রাজ্যগুলোর সাথে কাজ করবে এবং আর্থিক সহায়তা করবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে গ্রামীণ ও শহরে উভয় ক্ষেত্রে ভূমি সংরক্ষণ সংক্রান্ত সংস্কার ও কর্মের মধ্যে থাকবে ভূমি প্রশাসন, পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা, এবং নগর পরিকল্পনা, ব্যবহার, বিল্ডিং উপ আইন এর জন্য যথাযথ আর্থিক সহায়তা করা হবে।
ভূ আধার কিভাবে কাজ করবে?
জমি প্লটটিকে প্রথমে জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে জিও ট্যাগ করা হবে যাতে সঠিক ভৌগোলিক অবস্থান শনাক্ত করা যায়, তারপর জরিপকারী প্লটের সীমানা গুলির ভৌত যাচাই কারণ এবং পরিমাপ করে জমির মালিকের নাম, ব্যবহার বিভাগ, এলাকা, ইত্যাদি বিবরণ সংগ্রহ করে সমস্ত তথ্য ল্যান্ড রেকর্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে প্রবেশ করানো হবে এরপরে সিস্টেমটি সক্রিয়ভাবে একটি 14 ডিজিটের নম্বর তৈরি করবেন। যা ডিজিটাল রেকর্ডের সাথে যুক্ত থাকবে।
ভূ আধারের সুবিধা
আপনার জমির ভূ আধার করলে একটি বড় সুবিধা হল এটি ল্যান্ড স্টার ম্যাপিং এবং মানচিত্রের মাধ্যমে সঠিক জমি রেকর্ড নিশ্চিত করবে। এবং প্লট সনাক্তকরণের অস্পষ্টতা দূর করবে। এতে করে জমি নিয়ে বিবাদ কমবে এবং জমির মালিকানা স্পষ্ট করে জানা যাবে। জমির ভুয়া ধারনা করা থাকলে পরে তা সহজেই তার ইতিহাস অর্থাৎ জমিটির বিবরণ ট্র্যাক করা যাবে এবং সরকার নীতি নির্ধারণের জন্য সঠিক তথ্য পাবে।
আরও পড়ুন: E Shram Card থাকলেই প্রতি মাসে পাবেন ৩,০০০ টাকা! চটপট করুন আবেদন
ভূ আধারে কী তথ্য রয়েছে
ভূ আধার আমাদের আধার কার্ডের মতনই একই পদ্ধতিতে তৈরি হবে। এতে রাজ্য কোড, জেলা কোড, উপজেলা কোড, ব্লকের অন্যান্য আইডি নম্বর ইত্যাদি রয়েছে। ভূ আধার নম্বর ডিজিটাল এবং ভৌত জমির রেকর্ড নথিতে মুদ্রিত হয়।
সুমি ডেইলি খবর বাংলার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং একজন অভিজ্ঞ সংবাদ প্রণেতা। সংবাদ জগতে তার ৩ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, রাজনীতি, এবং সরকারি প্রকল্পের উপর নির্ভরযোগ্য ও তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন তৈরি করতে সুমি বিশেষ পারদর্শী। তার কাজের প্রতি আন্তরিকতা এবং সংবাদ উপস্থাপনার দক্ষতা এই প্ল্যাটফর্মকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। পাঠকদের কাছে সঠিক ও বিশ্লেষণমূলক তথ্য পৌঁছে দেওয়াই তার প্রধান লক্ষ্য।