আসলে চলতি বছরে মানে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এসএসসির ২৬ হাজার চাকরির বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে ওই রায় কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। ওই রায়ের বিরোধিতা করেছিল এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এর ঠিক পরেই প্রাথমিকভাবেই হাইকোর্টের ওই রায়কে স্থগিতাদেশ দেশ সুপ্রিম কোর্ট। তবে বর্তমানে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় এসেছে নতুন মোড়। জানা গেছে এসএসসির এই চাকরি বাতিল মামলায় আরো প্রায় ১০০ টি আবেদন জমা পড়েছে। সেই আবেদনগুলি নাকি হাইকোর্টের নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ করেই করা হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে।
৭ই জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মূল মামলাটি শুনানি রয়েছে। সুপ্রিমকোর্টে আগামী বৃহস্পতিবার ওই মামলা গুলি একযোগে শুনানির তালিকায় আসতে পারে বলে জানা যায়। তবে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীদের অনুমান এই ১০০ আবেদন তালিকায় থাকলেও শুনানি হওয়া সম্ভাবনা কম।
কতগুলি আবেদন জমা পড়েছে?
জানা গেছে হাইকোর্টের ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায় কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন ৯৩ জন। তাদের মতে হাইকোর্টের চাকরি বাতিল নিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে যুক্তি বা মন্তব্য তাদের থেকেও শুনা হোক। তবে এই বিশাল সংখ্যক চাকরি বাতিল নিয়ে এর আগে প্রচুর আবেদন জমা করেছে তবে এখন আবেদনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে হাজারের কাছাকাছি। তবে গত শুনানিতে বিচারপতির মন্তব্য ছিল, যোগ্য অযোগ্য বাছাই করা না গেলে পুরো প্যানেল বাতিলের পথে হাঁটতে পারে কোর্ট। ২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারি সিবিআই তদন্তে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য আদালতকে জানাবে এর সঙ্গে সাওয়াল করবে হাইকোর্টের মূল মামলাকারীরাও। তবে সাতই জানুয়ারি শুনানিতে কি হয় সেটাই দেখার পালা।
অমিত ডেইলি খবর বাংলার প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। পশ্চিমবঙ্গের এবং ভারতের সংবাদ সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পরিবেশন করতে অমিত সর্বদা উদ্যমী। সংবাদ সংগ্রহ এবং তা পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রতি তার আগ্রহ এবং নিষ্ঠা এই প্ল্যাটফর্মকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সেরা এবং নির্ভুল খবর প্রদানই তার প্রধান লক্ষ্য।