অমিত সরকার, কলকাতা: ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোট। এই অবস্থায় বিজেপির অবস্থা ঠিক কেমন? কারণ ২০২১ সালে বিজেপির যে উত্থান দেখা গিয়েছিল এখন তা বেশ শোচনীয়। ২০২১ সালের ভোটে ৭৭ টি আসন পেয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রথমবার বিরোধী দল হয়েছিল বিজেপি। তবে ২০২৬ সালের ভোটের আগে তা কমে হয়ে গিয়েছে ৬৫টি।
ভোটের আগে দল বদল
২০২৬ সালের ভোটের আর বেশি দেরি নেই। তবে তার আগেই বঙ্গ রাজনীতিতে প্রথম দলবদল হল বিজেপি বিধায়ক তাপসী মন্ডলের। তিনি বিজেপি দল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। যার ফলে সোমবার রাজ্য বিজেপি শিবিরে আরও এক বিধায়ক আনঅফিসিয়ালি কমে গেল। এর আগে এমনিতেই একাধিক আসন হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। এছাড়া দুজন সংসদ নির্বাচনের লড়াই করে জিতলেও পরে তারা পদত্যাগ করায় সেখানে উপ নির্বাচনে দুটিতেই জিতে যায় তৃণমূল।
আবার কিছু কিছু বিধায়ককে দেখা যায় যারা অফিসিয়ালি বিজেপির কিন্তু ঘটা করে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের। যার মধ্যে প্রথম নামটি হল মুকুল রায়। মুকুল রায় আগে তৃণমূল করতো পরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসে কিন্তু ২০২১ সালে নির্বাচনের পর আবার তৃণমূলে ফিরে যায়। কিন্তু তিনি খাতা কলমে বিজেপির বিধায়ক। এছাড়াও রয়েছে সুমন কাঞ্জিলাল, হরকালী প্রতিহার, তন্ময় ঘোষ ও তাপসী মন্ডল। ২০২৬ এর আগে নাকি আরো কিছু বিজেপি সিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে পা বাড়িয়েছেন।
ধুপগুড়ির আসন
ধুপগুড়ি আসনটিও বিজেপির হাতে থাকলেও প্রয়াত বিষ্ণুপদ রায়ের আসনে উপনির্বাচনে হেরে গিয়েছেন গেরুয়া শিবির। এছাড়াও রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী প্রথমে বিজেপি থেকে জিতলেও পরে কিন্তু বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে চলে গিয়েছেন। এবং পরে তিনি বিধানসভার উপনির্বাচনে ওই আসন থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতে যান এবং তৃণমূলের বিধায়ক হন।
আবারও দল ভাঙ্গার সম্ভাবনা
বিভিন্ন খবর সুত্রে জানা যাচ্ছে যে বিজেপির বিধায়করা নিজেদের দল পরিত্যাগ করে অন্যান্য দলে যোগ দিচ্ছেন। যেমন মুকুটমনি অধিকারী বিশ্বজিৎ দাসের ক্ষেত্রেও একই ছবি। লোকসভা ভোটে দাঁড়ানোর জন্য বিজেপি বিধায়ক হিসেবে পদত্যাগ করেন, হেরে যান পরে বিধানসভার উপর নির্বাচনে রানাঘাট দক্ষিণ আসন থেকে জিতে এখন তৃণমূল বিধায়ক। এভাবে অনেক বিধায়কই বিভিন্ন দল থেকে জিতে পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তবে এখন অনেকেই মনে করছেন যে, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে এখনো এক বছর বাকি, তবে তার আগে নাকি আরো দল ভাঙার সম্ভাবনা রয়েছে।