চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে রামকৃষ্ণ মিশনের চিঠি, কী বলছে তারা?

Sumi Roy

Published on:

Chinmoy Krishna Das

বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করে হিন্দু সন্ন্যাসীর চিন্ময় দাস কে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর সেই হিন্দু সন্ন্যাসীর হয়ে যাতে কোন আইনজীবী সওয়াল না করে তার জন্য বাংলাদেশের কঠোর পন্থীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। ফলে সেই সন্ন্যাসীর হয়ে ওই মামলার শুনানিতে কোনরকম আইনজীবী তার পাশে দাঁড়ানোর সাহসও দেখায়নি। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো রকম আইনজীবী দেওয়া হয়নি সেই সন্ন্যাসীর পক্ষে। এবার সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ সহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মত গুরুতর ধারায় মামলা রুজুর দাবি করানো হলো। চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক এর এজলাসে এনামুল হক নামে এক ব্যবসায়ী এই মামলার আবেদন জানিয়েছে, তাতে চিন্ময় কৃষ্ণসহ ১৬৪ জনের নাম করে আরো চার পাঁচশ জন অজ্ঞাত পরিচয়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর আর্জি জানানো হয়েছে।

আর পড়শী দেশ ভারতকেই মনে করিয়ে দিতে হল যে চিন্ময় কৃষ্ণ যাতে ন্যায় বিচার পান তার দেখার দায়িত্ব কিন্তু বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের। অন্যদিকে কলকাতার ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমন দাস সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করে আতঙ্কের সুরে বলেছেন বাংলাদেশের প্রকাশ্যে হিন্দু সংখ্যালঘু নিধনের নির্দেশ দিচ্ছেন মৌলবাদীরা! প্রাইভেট জেটে করে সারা দেশ ঘুরে ইসকন আর ভক্তদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এতে করে বাংলাদেশ সরকার নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। তবে এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আমাদের ওয়েবসাইট।

ভিডিওতে একটি ব্যক্তিকে বলতে দেখা যাচ্ছে ক্যান্সার হলে আপনারা কি করেন, ক্যান্সারকে উপরে ফেলে দিতে হয় এখানে ইসকন হলো ক্যান্সারের মতন। যাকে এবার এদেশ থেকে উপরে ফেলতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিওটি প্রচুর ভাইরাল হয়েছে যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন। যদি এত মানুষকে এভাবে প্ররোচিত করা হয় তাহলে ভভবিষ্যতে বাংলাদেশ পুলিশ ও জোয়ানরা সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিতে চাইলে এত লক্ষ লক্ষ মানুষকে কেউ সামলাতে পারবে না, তখন কারো হাতে নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।

তবে জানা গেছে বাংলাদেশের ধৃত সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণের রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটির শুনানি নির্ধারিত হয়েছে আগামী বছরের জানুয়ারিতে। চট্টগ্রাম আদালত সুত্রে খবর, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন-আর্জি নাকচ হওয়ার পর গত ২৬ শে নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতের বিক্ষোভ শুরু করে তার ভক্ত ও অনুগামীদের একাংশ। ভ্যান আটকে প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ চলে সেখানে পরে পুলিশ লাঠি, কাদানে গ্যাস চালালে শুরু হয় সংঘর্ষ। আর ঠিক সেই সময়ই সাব রেজিস্টার অফিসে ব্যক্তিগত কাজে এসেছিলেন এনামুল হক। তখন তাকে নাকি চিন্ময়ী-দাসের অনুগামীরা খুনের উদ্দেশ্যে আঘাত করেছে বলে মামলা করেন তিনি। আর এই ঘটনার পরিকল্পনাকারী হিসেবে প্রধান আসামি করা হয়েছে চিন্ময়কে।

এর মধ্যে মোহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি লিখলেন ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ ও সম্পাদক স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ। সেই চিঠিতে ধৃত সন্ন্যাসীর মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে এবং বলা হয়েছে হিন্দু সন্ন্যাসীকে মুক্ত করলে অন্তবর্তী সরকারেরই ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। আশা করি এ বিষয়ে আপনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমাদের আশ্বস্ত করবেন।