HMPV নিয়ে বেজিং-এর বক্তব্য, ‘শীতকালে স্বাভাবিক’, কী বলছেন ভারতের বিশেষজ্ঞরা?

Sumi Roy

Published on:

hmpv virus

পাঁচ বছর আগে কোভিড-১৯ এর ফলে বিশ্বজুড়ে যে অবস্থা তৈরি হয়েছিল, সে কথা মনে করে আবারো চীনের একটি খবর শুনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে কিছু হাসপাতালের অবস্থা দেখে সকলেই চমকে উঠছেন। অনেকেই দাবি করছেন এই হাসপাতালের ভিডিওটি চীনের। তাই পুরনো কথা মনে করে সকলেই চিন্তিত চীনের এই ভিডিও দেখে। এই ভিডিও সামনে আসার পর ভারতেও সে বিষয় নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে এই নতুন ভাইরাসের নাম হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (HMPV)।

চীনের বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য

চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং শুক্রবার বলেছেন, শীতকালে ফুসফুসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। সকলকে আশ্বস্ত করেও তিনি বলেন চীনের সরকার দেশের নাগরিক এবং বিদেশ থেকে আগত অতিথিদের জনস্বাস্থ্যের যথেষ্ট নজর দেয়। তাই বর্তমানে চীনে আসা একদম সম্পূর্ণ নিরাপদ।

তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় চীনের যে হাসপাতাল গুলির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে হাসপাতাল গুলির বাইরে থিকথিকে ভিড়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে ২০০১ সালে উৎপত্তি হওয়া এই ভাইরাস নতুন করে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে চীনে। পাঁচ বছর আগে কোভিড যেভাবে গোটা বিশ্বে থাবা বসিয়েছিল। ঠিক সেভাবেই হু হু করে ছড়াচ্ছে এই HMPV ভাইরাস। এখন সকলের মনে একটাই আশঙ্কা যে এই ভাইরাস কী নতুন করে আবারো অতিমারী তৈরি করবে?

পাঁচ বছর আগে কোভিডের জন্য ভয়ংকর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভারত। কোভিডের ফলে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়, ফলে নতুন করে আবারো নতুন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর শুনেই আতঙ্কে রয়েছে ভারতীয়রা। যদিও ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিস এর আধিকারিক ডক্টর অতুল গোয়েল জানিয়েছেন, এই ভাইরাস নিয়ে প্যানিক করার কোন কারণ নেই। এই ভাইরাস আর পাঁচটা ফুসফুসের সংক্রমণের মতোই। এইরকম সংক্রমণ শীতকালে হয়ে থাকে প্রবীণ এবং শিশুদের মধ্যে সাধারণত এই ধরনের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাস নিয়ে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে কোন শব্দ করা হয়নি। বেজিংও এই নিয়ে কোন জরুরি অবস্থা জারি করেনি। তবে চীন বাদেও হংকংয়েও একাধিক আক্রান্তের হদিস মিলেছে।

এই ভাইরাস আক্রান্তদের প্রধান উপসর্গ হলো জ্বর, নাক থেকে জল পড়া, নাক জ্বালা, কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট। তবে এই ভাইরাসের প্রভাব বেশি থাকার কারণে অনেকের নিউমোনিয়া আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। ডিসেম্বর মাসের ডেটা অনুযায়ী তেমন কোন বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা যায়নি। কোন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান থেকেও একাধিক মাত্রায় আক্রান্ত রিপোর্টও মেলেনি।