সুমি রায়, কলকাতা: আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইসিসি (ICC) এবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রোষের মুখে পড়েছে। জানা গেছে আমেরিকা এবং তার বন্ধু দেশ ইজরাইলের বিরুদ্ধে বেশ কিছু সিদ্ধান্তের কারণেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের উপরে রেগে গিয়েছেন।
আমেরিকা এবং তার ঘনিষ্ঠ ইজরাইলের বিরুদ্ধে নানা রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এই আদালত। যা আমেরিকার ঘনিষ্ঠ ইজরাইলের বিরুদ্ধেও গিয়েছে। আর এরপরে আন্তর্জাতিক আদালতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন ট্রাম্প। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে যে বৃহস্পতিবার তিনি আইসিসির উপর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। এবং সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকায় ট্রাম স্বাক্ষর করার পর হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে। তবে ট্রাম্পের এই নির্দেশিকার পরিপ্রেক্ষিতে এখনো আইসিসি- র তরফ থেকে কোন জবাব আসেনি।
ICC আদালত
আসলে আইসিসি একটি আন্তঃসরকারি এবং আন্তর্জাতিক আদালত। এটি মূলত নেদারল্যান্ডের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত। আমেরিকা বা ইজরাইল কোন দেশই কিন্তু সরাসরি আইসিসির সদস্য নয়। এই আদালতেই ইজরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। মঙ্গলবার নেতানিয়াহু ট্রাম্পের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। তারপরেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আইসিসির বিরুদ্ধে পদক্ষেপের পথে হাঁটতে শুরু করেছে।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতি
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে দাবী করা হয়েছে, আইসিসি (International Criminal Court) নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। আইসিসি আমেরিকা এবং তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইজরাইলকে টার্গেট করে একাধিক অবৈধ ও ভিত্তিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এই কারণেই আইসিসির সকল আধিকারিক কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সকল সদস্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। এমনকি আমেরিকায় তাদের ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
আসলে আইসিসিতে চলেছিল সম্প্রতি যুদ্ধ সংক্রান্ত অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া। আর সেই বিচার প্রক্রিয়াতেই আদালতের একাধিক সিদ্ধান্ত আমেরিকার এবং ইজরাইলের বিরুদ্ধে গিয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই বিচার প্রক্রিয়ায় যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের উপরেও ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।
তবে ট্রাম আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম জয়ী হওয়ার পরেই আইসিসির কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক এবং ভিসা সংক্রান্ত কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। এবার icc কর্তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তবে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের পর আইসিসির তরফ থেকে এখনো কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।