সুমি রায়, ঢাকা: বাংলাদেশের নোবেলজয়ী এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে ঘিরে ফের উত্তাল হচ্ছে সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। এবার আলোচনার কেন্দ্রে তাঁর গ্রামীণ টেলিকম থেকে সম্ভাব্য পদত্যাগ।
কী কারণে বাড়ছে চাপ?
বিশ্বজুড়ে ‘সামাজিক ব্যবসা’র ধারণা জনপ্রিয় করে তোলা এই অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি একাধিক আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশেষত, গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিকদের লাভ বণ্টন এবং পরিচালনায় অনিয়মের অভিযোগ ঘিরে প্রশাসনিক চাপ বেড়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্র অনুযায়ী, ইউনুস সাহেব প্রতিষ্ঠানটির বোর্ড অব ডিরেক্টরস থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ভাবছেন। যদিও তাঁর পক্ষ থেকে এখনো কোনো অফিসিয়াল বিবৃতি আসেনি।
রাজনৈতিক না কি প্রশাসনিক চাপ?
অনেক বিশ্লেষকের মতে, এটি শুধুই প্রশাসনিক নয়, বরং রাজনৈতিক চাপের প্রতিফলনও হতে পারে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ড. ইউনুসের অতীতের ভূমিকা এবং অবস্থান এই জল্পনাকে আরও জোরদার করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় হামলায় মাসুদ আজহার পরিবারের ১০ সদস্য নিহত, কে এই আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী?
গ্রামীণ টেলিকমের ভবিষ্যৎ কী?
ড. ইউনুসের পদত্যাগের ঘটনা সত্যি হলে এটি শুধু একটি ব্যক্তির নয়, বরং একটি প্রতিষ্ঠান ও দর্শনের ওপরও প্রভাব ফেলবে। ‘সামাজিক ব্যবসা’-র উদাহরণ হিসেবে বহুদিন ধরে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়ে আসা গ্রামীণ টেলিকমের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন নতুন প্রশ্ন উঠছে।
মানুষের প্রতিক্রিয়া
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা মনে করেন, সরকারের উচিত একজন নোবেলজয়ীর প্রতি সম্মানজনক আচরণ নিশ্চিত করা।