স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে নতুন নিয়ম আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। গত আগস্ট মাসে তিলোত্তমা কাণ্ডের জেরে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আরজি কর কাণ্ডের আঁচ ব্যাপকভাবে পড়েছিল। যার ফলে সাধারণ মানুষ সরকারি হাসপাতালে ঠিকমতো সুযোগ-সুবিধা না পাওয়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেসরকারি হাসপাতাল অথবা নার্সিংহোমে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিল। আর সেই সময়ে অনেকের স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে রোগী চিকিৎসা করিয়েছিল। ঠিক এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছিল কিছু অসৎ লোক। যার ফলে স্বাস্থ্য দপ্তরের সামনে নানান দুর্নীতি তথ্য উঠে আসে। কারণ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ব্যবহার করে লক্ষাধিক টাকার বিল বাড়ানোর কথা জানা যায় এবার এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর নতুন নিয়ম চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
চালু হবে নয়া পরিষেবা
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে যে বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম ক্ষেত্রে নয়া ফরমানী জারি করেছে রাজ্যের তরফ থেকে। যেখানে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজ্যজুড়ে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের যুক্ত সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল গুলিতে চালু হবে ‘জিও ট্যাগিং’।
‘জিও ট্যাগিং’ ব্যবস্থা কী?
জিও ট্যাগিং ব্যবস্থা হল এমন একটি ব্যবস্থা, জানা গিয়েছে যার মাধ্যমে হাসপাতালে রোগী ভর্তি হওয়া মাত্রই অ্যাপের মাধ্যমে ওই রোগীর ছবি তুলে পাঠাতে হবে। অপারেশনের আগে, পরে এবং ডিসচার্জের সময় ছবি তুলে সমস্ত তথ্য পাঠাতে হবে। সেই তথ্যে থাকবে রোগীর নাম হসপিটালের নাম এবং সেখানে থাকার দিনক্ষণ। হাসপাতালে ঠিক কোন জায়গায় ছবি তোলা হয়েছে সেই তথ্য দিতে হবে আর ওই অ্যাপ চলবে শুধুমাত্র হাসপাতালে ৫০ মিটারের মধ্যে। যদি কোন ভুল বা অসত্য তথ্য প্রমাণিত হয় তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান ও পদ অধিকারীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে সমস্ত তথ্য বিবেচনা করার জন্য থাকবে TPA বা দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্সি। এই এজেন্সির লোক দেখবে যে পাঠানো ছবির সঙ্গে সঠিক তথ্যের কোন মিল আছে কিনা।
এই সিস্টেমের উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হবে AI বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যার মাধ্যমে এই সকল তথ্য যাচাই করা হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের যুক্ত বেসরকারি হাসপাতাল অর্থাৎ নার্সিংহোমের চিকিৎসা ও অস্ত্রপ্রচারের সঙ্গে জড়িত চিকিৎসকদের সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য হাসপাতাল এবং নার্সিংহোম গুলিকে জানাতে হবে। একবার যে তথ্য আপলোড হয়ে যাবে তা আর দ্বিতীয়বার এডিট করা যাবে না।
সুমি ডেইলি খবর বাংলা ওয়েবসাইটের সহ প্রতিষ্ঠাতা। সুমির সংবাদ জগতে তিন বছরের বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। সে সরকারি প্রকল্প বিষয় বস্তু সম্পর্কিত খবর তৈরি করতে এবং আপনাদের শেয়ার করতে ভালোবাসেন। সুমি সবসময় চেষ্টা করে আপনাদের সেরা এবং সঠিক খবর প্রদান করার।