বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় এবং উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হল লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। রাজ্যে প্রায় কয়েক কোটি মহিলাদের প্রতি মাসে ১,০০০ থেকে ১,২০০ টাকা করে একাউন্টে দেওয়া হয় এই প্রকল্পের মাধ্যমে। তবে মহিলাদের শুধুমাত্র আর্থিক সাহায্যই নয় নানারকম সমস্যার সমাধানের জন্য নতুন করে তৈরি হতে চলেছে লক্ষ্মীর ভান্ডার। এই প্রতিবেদনে এই টপিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আপনারা সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন।
মহিলাদের সমস্যার সমাধানে নয়া লক্ষ্মীর ভান্ডার!
গ্রামের মহিলাদের রোজগার জীবনে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। গ্রামের মহিলাদের যেমন সাংসারিক ক্ষেত্রে নানা রকম সমস্যা তৈরি হয়, তেমনিভাবে বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হয় এছাড়া বাল্য বিবাহের মতো সমস্যা তো রয়েছে। এই ধরনের বিপদে তাদের সাহায্য করার জন্যই তৈরি হয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার ক্লাব। এই ক্লাবের মাধ্যমে যেমন মহিলাদের সমস্যা সমাধান করা হবে ঠিক তেমনভাবে পুরুষদের উন্নয়নের কাজেও সহযোগিতা করা হবে এই ক্লাবের তরফ থেকে।
কোথায় তৈরি হলো এই ক্লাব?
জানা যাচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চাঁদরা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সনকাডাঙ্গা গ্রামের মহিলাদের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে এই ক্লাব। এই ক্লাবের নাম রেখেছে লক্ষ্মীর ভান্ডার ক্লাব। এই গ্রামটি খুবই ছোট। গ্রামে মোট ৬৫ থেকে ৭০ টি পরিবারের বাস। এই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই অত্যন্ত গরিব এবং মধ্যবিত্ত। এই গ্রামের যে সমস্ত মহিলারা লক্ষ্মীর ভান্ডার পায় তারা নিজেরাই এই ক্লাব তৈরি করেছে।
তবে তারা এখনো নিজেদের ক্লাব ঘর বানায়নি। জানা গেছে বর্তমানে তারা নাকি লোকাল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বারান্দায় এসে ক্লাবের সদস্যরা মিলে নানা আলোচনা করে। এছাড়া কখনো কখনো কোনো সদস্যের বাড়িতেও তাদের মিটিং বসে।
‘লক্ষ্মীর ভান্ডার ক্লাব’ নাম রাখার কারণ!
সকলেই ভাববেন যে হঠাৎ করে এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের নাম কেন সেই ক্লাবের নাম রাখা হলো। এর উত্তর হিসেবে জানা গেছে যে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মহিলাদের প্রতি মাসে এক ১০০০-১২০০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। যেটা মহিলাদের নিজেদের কাজ বাদেও অন্য নানা রকম কাজে লাগায় এবং এই ক্লাবটি শুধুমাত্র মহিলাদেরই। যেহেতু ক্লাবটি মহিলারাই তৈরি করেছে এবং মহিলারাই চালায় এবং মহিলারা অন্যান্য মহিলাদের স্বাবলম্বী করতে চায় তাই সবাই মিলে আলোচনা করে এই নামটি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
জানা গেছে ইতিমধ্যেই সেই ক্লাবের মহিলারা গ্রামের জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে। যেহেতু গ্রামের দিকে এখনো মেয়েদের ঠিকঠাক বয়স না হলেও বিবাহের মতো ঘটনা দেখা যায় সে সমস্ত ঘটনা আটকানোর জন্যই মহিলাদের এই উদ্যোগ। মহিলাদের এই উদ্যোগকে স্থানীয় পুরুষরাও সাধুবাদ জানিয়েছে।
সুমি ডেইলি খবর বাংলা ওয়েবসাইটের সহ প্রতিষ্ঠাতা। সুমির সংবাদ জগতে তিন বছরের বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। সে সরকারি প্রকল্প বিষয় বস্তু সম্পর্কিত খবর তৈরি করতে এবং আপনাদের শেয়ার করতে ভালোবাসেন। সুমি সবসময় চেষ্টা করে আপনাদের সেরা এবং সঠিক খবর প্রদান করার।