বিভিন্ন রকম সরকারি প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত যেন কমছেই না। কখনো কখনো পরিস্থিতি এমন আকার ধারণ করেছে যে গত দুবছর ধরে বিভিন্ন খাতে কেন্দ্র সরকার রাজ্যকে বরাদ্দ টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। কেন্দ্র সরকারের টাকা বন্ধ করে দেওয়ার পরে তা নিয়ে বিভিন্ন সভা, মিছিল, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। আর এর মধ্যেই রাজ্যে অর্থ কমিশনের বৈঠকে এবার ৫০% কর দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্নে অর্থ কমিশনের বৈঠক
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান অরবিন্দ পানগড়িয়ার নেতৃত্বে নবান্ন সভা ঘরে একটি বৈঠক হয়। জানা যায় সেই সভায় দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ নবান্নে পৌছন দিল্লি থেকে আসা প্রতিনিধিরা। আর এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন আরো 12 জন মন্ত্রী, এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সহ অনেকেই। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে এই বৈঠক। সেই বৈঠকে সিপিএমের তরফ থেকে ছিল তাদের রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম এবং পলিটব্যুরোর সদস্য রামচন্দ্র ডোম, বিজেপির তরফে হাজির ছিল দুই বিধায়ক শংকর ঘোষ এবং দীপক বর্মন, এবং কংগ্রেসের তরফ থেকে ছিল সুখবিলাস বর্মা।
অর্থ কমিশনের কাছে নালিশ
মঙ্গলবার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বকেয়া পাওনার দাবি নিয়ে সবর হয়েছিলেন এছাড়াও কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়েও তুলেছিলেন একাধিক প্রশ্ন। মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, কেন্দ্রীয় সরকার কেন তাদের পছন্দমত রং ব্যবহারের জন্য রাজ্যকে চাপ দিচ্ছে? তা হচ্ছে না বলে টাকা আটকে রেখেছে। তিনি আরো বলেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ৬০ শতাংশ অর্থ কেন্দ্রীয় সরকার দিলেও রাজ্যকে কিন্তু ৪০ শতাংশ অর্থ দিতে হয়। তার পরেও একতরফা ভাবে রাজ্যকে বঞ্চনা করা হচ্ছে কেন? এতদিন পরের ৪১ শতাংশ পেতো রাজ্য, তবে সেদিন বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ৫০ শতাংশ কড় দাবি করেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই করের দাবির পক্ষে মত দিয়েছেন বিরোধী দলের একাংশ। কমিশনের তরফে জানানো হয় এখনো পর্যন্ত ১৩ টি রাজ্যে সকলে কম বেশি এই দাবি তুলেছে এই সমস্ত তথ্যই তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানাবেন। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ যখন কমিশনের জানানো হয়েছে, তখন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে তারা শুধুমাত্র করের বিষয়টি দেখভাল করেন। কেন্দ্রীয় বকেয়া বা কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত টাকা রাজ্যকে দেওয়া তাদের আওতাভুক্ত নয়, তবে কেন্দ্রের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেবেন বলে আশ্বাস দেন প্রতিনিধিরা।
অমিত ডেইলি খবর বাংলার প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। পশ্চিমবঙ্গের এবং ভারতের সংবাদ সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পরিবেশন করতে অমিত সর্বদা উদ্যমী। সংবাদ সংগ্রহ এবং তা পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রতি তার আগ্রহ এবং নিষ্ঠা এই প্ল্যাটফর্মকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সেরা এবং নির্ভুল খবর প্রদানই তার প্রধান লক্ষ্য।