পশ্চিমবঙ্গ মানুষের জন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন রকম প্রকল্প চালু করেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি প্রকল্প হল লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে রাজ্য সরকার। যার ফলে হাজার হাজার মহিলারা নিজের আর্থিক স্বাধীনতা অর্জনের সহায়তা পেয়েছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় মহিলারা প্রতিমাসে ১০০০ টাকা এবং তফশিলি জাতি মহিলাদের প্রতি মাসে ১২০০ টাকা করে পান। এর আগে কিন্তু লক্ষ লক্ষ মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে কিন্তু ২০২৪ শে ডিসেম্বর মাস থেকে রাজ্য সরকার আরোও ৫,০৭,০০০ নতুন সুবিধাভোগী যুক্ত হয়েছে।
তবে এই নতুন বছরের শুরুতে রাজ্য সরকার নতুন একটি নিয়ম চালু করেছে। এবং সরকার সতর্ক করে দিয়েছে যে যদি এই নিয়মগুলি মহিলারা না অনুসরণ করে তাহলে তাদের সুবিধা হারাতে হবে।
নতুন নিয়ম
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার বেশ কিছু নিয়ম পরিচালিত করেছে যেগুলো মহিলাদের মানতেই হবে। সেই নিয়ম গুলি হল- আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই ২৫ বছর থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে। এছাড়া একজন মহিলার সিঙ্গেল ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই টাকা দেওয়া হবে, যদি একাউন্টটি যৌথ হয় তাহলে তিনি ভাতা পাবেন না। এছাড়া মহিলাদের যে ব্যাংক একাউন্টটি দেওয়া থাকবে সে ব্যাংক একাউন্টটি আধার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত করা বাধ্যতামূলক।
আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হল যদি কোন মহিলা কর্মরত থাকে বা ইতিমধ্যেই অন্যান্য সরকারি সুবিধা গ্রহণ করে তাহলে তারা এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য যোগ্য নাও হতে পারেন। এছাড়া মহিলাদের তপশিলি উপজাতি সার্টিফিকেট বা শংসাপত্র জমা দিতে হবে।
তবে জানা যাচ্ছে আগে এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে যে মহিলারা যুক্ত হয়েছেন তাদের নথিপত্র আবারো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি কোন সুবিধাভোগী এই নতুন নির্দেশিকা অনুসরণ না করে তাহলে তারা ভাতা পাবে না। তাই সকলকে বলবো তোমরা যারা এখনো ব্যাংক একাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ড নম্বর লিঙ্ক করো নি, এছাড়া অন্যান্য ডকুমেন্ট গুলি জমা দাও নি, তারা খুব তাড়াতাড়ি এ কাজগুলো করে নাও নইলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে।
সুমি ডেইলি খবর বাংলার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং একজন অভিজ্ঞ সংবাদ প্রণেতা। সংবাদ জগতে তার ৩ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, রাজনীতি, এবং সরকারি প্রকল্পের উপর নির্ভরযোগ্য ও তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন তৈরি করতে সুমি বিশেষ পারদর্শী। তার কাজের প্রতি আন্তরিকতা এবং সংবাদ উপস্থাপনার দক্ষতা এই প্ল্যাটফর্মকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। পাঠকদের কাছে সঠিক ও বিশ্লেষণমূলক তথ্য পৌঁছে দেওয়াই তার প্রধান লক্ষ্য।