বিভিন্ন স্কিম গুলির মধ্যে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য স্টিম হলো পোস্ট অফিসের সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম। এই প্রতিবেদনে এই স্কিন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আপনারা সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়বেন।
যারা চাকরি করে তারা তো প্রতি মাসে বেতন পায় সেই রকমই যদি সাধারন মানুষ টাকা জমিয়ে বেতনের মতো প্রতি মাসে টাকা পায় এর থেকে ভালো আর কি হতে পারে। পোস্ট অফিসের সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম এর মাধ্যমে ব্যক্তিদের জামানা টাকা বেতনের মত প্রতি মাসে দেওয়া হবে। তারা পুরো পাঁচ বছর প্রতি মাসে ২০,৫০০ টাকা করে পাবেন। এতে করে সংসার খরচ নিয়ে আর টেনশন করতে হবে না সিনিয়র সিটিজেনদের। তবে এই স্কিম কিন্তু শুধুমাত্র প্রবীণ নাগরিকদের জন্যই।
পোস্ট অফিস স্কিমের সুবিধা
এই সঞ্চয় প্রকল্প পরিচালনা করে ভারত সরকার, ফলে টাকা নিরাপদে থাকে। এবং তার সঙ্গে মিলবে গ্যারান্টি যুক্ত রিটার্ন। এতে আয়কর আইনের ধারা ৮০ C- এর আওতায় বিনিয়োগকারী প্রতিবছর ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পেতে পারেন। এই স্কিমের মাধ্যমে প্রতিদিন সুদের টাকা পাওয়া যায়। প্রতিবছর এপ্রিল, জুলাই, অক্টোবর এবং জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকেই অ্যাকাউন্টে সুদ জমা হয়।
টাকার পরিমান
পোস্ট অফিসের সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে ন্যূনতম ১০০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা যায়। সর্বোচ্চ বিনিয়োগের পরিমাণ 30 লাখ টাকা। সুদ বিনিয়োগের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে। সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে যদি একসঙ্গে ১৫ লাখ টাকা জমা করা হয় তাহলে অতিত্র মাসিকে হাতে আসবে ১০,২৫০ টাকা করে। শুধু শুরু থেকে আয় হবে ২ লাখ আর সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে প্রতিবছর সুদ হিসেবে ২,৪৬০০০ টাকা পাবেন বিনিয়োগকারীরা। তারমানে প্রতি মাসে ২০,৫০০ টাকা এবং প্রতি ত্রৈমাসিকে ৬১,৫০০ টাকা হাতে আসবে সেই ব্যক্তির।
আরও পড়ুন: জানা গেল কৃষক বন্ধুর টাকা ঢুকবে এই মাসেই, দেখুন বিস্তারিত
পোস্ট অফিস সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম
এই স্কিমটি মূলত প্রবীণ নাগরিকদের জন্য। আসলে যে সমস্ত ব্যক্তিদের ৬০ বছর বা তার বেশি বয়স হয়েছে তাদের কথা মাথায় রেখে এই স্কিমটি তৈরি করেছে পোস্ট অফিস। যাতে করে প্রবীণ নাগরিকরা অবসর গ্রহণের পর নিয়মিত আয় থেকে বঞ্চিত না হয়। কিন্তু আগে থেকে টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। বর্তমানে সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে ৮.২ শতাংশ হারে সুদ দিচ্ছে সরকার।এই স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে অবশ্যই নিকটবর্তী পোস্ট অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করুন।
সুমি ডেইলি খবর বাংলা ওয়েবসাইটের সহ প্রতিষ্ঠাতা। সুমির সংবাদ জগতে তিন বছরের বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। সে সরকারি প্রকল্প বিষয় বস্তু সম্পর্কিত খবর তৈরি করতে এবং আপনাদের শেয়ার করতে ভালোবাসেন। সুমি সবসময় চেষ্টা করে আপনাদের সেরা এবং সঠিক খবর প্রদান করার।