এখন থেকে সপ্তাহে ৪ দিন বন্ধ রেশন দোকান, খাদ্যসামগ্রী কীভাবে পাবেন?

By Sumi Roy

Published on:

ration-shop-closed-4-days-how-to-get-food-items

জানা যাচ্ছে, রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত রেশন দোকান বন্ধ রেখে দুয়ারে রেশনের ব্যবস্থা করবে। এবার থেকে প্রতি সপ্তাহে চারদিন করে বন্ধ থাকবে রেশন দোকান। তার মধ্যে শনিবার ও রবিবার খোলা থাকবে রেশন দোকান। সোমবার রেশন দোকান সাপ্তাহিক বন্ধের দিন সেদিন রেশন দোকান থেকে কোন সামগ্রী পাওয়া যাবে না। তাহলে বাকি দিনগুলিতে কি হবে? জানা যাচ্ছে বাকি এই চার দিন রেশন দোকানের বদলে অন্য জায়গা থেকে গ্রাহকদের খাদ্য সামগ্রী দিতে হবে রেশন ডিলারদের। এক্ষেত্রে রেশন ডিলার বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন বিলি করবেন নাকি কাছাকাছি কোন জায়গায় শিবিরের মাধ্যমে রেশন দেবেন সেটা স্পষ্ট নয়। আবার যদি কোন জায়গায় শিবিরের মাধ্যমে রেশন দেওয়া হয় তাহলে রেশন ডিলারদের একটি বাড়তি খরচ হয়। সেই অর্থ কিভাবে জোগাড় হবে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

রেশনের সমস্যা

এই রেশন নিয়ে রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলি থেকে শুরু করে কলকাতার আশেপাশেও মানুষের মধ্যে রয়েছে বিস্তার অভিযোগ। এরমধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে কম খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। খাদ্য দপ্তরের প্রচুর পরিমাণে অভিযোগ জমা পড়েছে। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। এর আগেও দুয়ারে রেশন চালু করার নির্দেশ দিয়েছিল খাদ্য দপ্তর কিন্তু নিয়মিত এই ব্যবস্থা চালু নেই। এখনো রেশন দোকান থেকে খাদ্য সামগ্রী দিচ্ছেন রেশন ডিলাররা ফলে গ্রাহকদের অভিযোগ শেষ হচ্ছে না। এই কারণে এবার কড়া নির্দেশ দিল খাদ্য দপ্তর।

তবে জানা গেছে এই দুয়ারে রেশন প্রকল্প নিয়মিত চলবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি সপ্তাহে চার দিনে রেশন দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দিলেও এই উদ্যোগ কত দিন চলবে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। সাধারণ মানুষ আশা করছে দুয়ারে রেশনের মাধ্যমে সমস্যা মিটবে।

Sumi Roy

সুমি ডেইলি খবর বাংলার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং একজন অভিজ্ঞ সংবাদ প্রণেতা। সংবাদ জগতে তার ৩ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, রাজনীতি, এবং সরকারি প্রকল্পের উপর নির্ভরযোগ্য ও তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন তৈরি করতে সুমি বিশেষ পারদর্শী। তার কাজের প্রতি আন্তরিকতা এবং সংবাদ উপস্থাপনার দক্ষতা এই প্ল্যাটফর্মকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। পাঠকদের কাছে সঠিক ও বিশ্লেষণমূলক তথ্য পৌঁছে দেওয়াই তার প্রধান লক্ষ্য।