অমিত সরকার, কলকাতা: সম্প্রতি ভারত সরকার পাসপোর্ট এর নিয়মে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, যা পাসপোর্ট আবেদনকারীদের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। সেজন্যই পাসপোর্ট আবেদনকারীদের সকলেই জানা দরকার। এই আপডেট গুলি সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার জন্য সকলেরই কিন্তু এগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন। এবার আমরা পরপর নিয়মগুলি দেখে নেব।
১. নতুন রঙিন পাসপোর্ট
সরকারের পক্ষ থেকে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে প্রার্থীদের অবস্থার উপর ভিত্তি করে একটি নতুন রঙ্গিন কোডিং সিস্টেম চালু করেছে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন মানুষের পাসপোর্ট বিভিন্ন রঙের করা হয়েছে যেমন-
- সরকারি কর্মকর্তাদের সাদা পাসপোর্ট দেওয়া হবে।
- সাধারণ নাগরিকদের নীল রঙের পাসপোর্ট জারি করা হবে।
- কূটনৈতিক পাসপোর্ট ধারীদের লাল পাসপোর্ট জারি করা হবে।
২. জন্ম তারিখের প্রমাণ
বয়স্ক অবেদনকারীদের জন্য জন্মতারিখের প্রমাণপত্র হিসেবে একাধিক নথি দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে যারা ২০২৩ সালের অক্টোবরের এক তারিখের আগে জন্মগ্রহণ করেছেন শুধুমাত্র তাদের জন্য নতুন নিয়ম প্রযোজ্য।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স।
- প্যান কার্ড।
- জন্ম শংসাপত্র।
- কোন শিক্ষিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে স্থানান্তর বা স্কুল ছাড়ার শংসাপত্র।
- মেট্রিকুলেশন সার্টিফিকেট।
- চাকরির বা কর্মসংস্থানের রেকর্ড।
৩. পাসপোর্টে বাবা মায়ের নাম
সরকারি পক্ষ থেকে পাসপোর্ট এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করা হয়েছে যা হলো বাবা মায়ের নাম আর পাসপোর্ট এর শেষ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত থাকবে না। এই নিয়মটি করা হয়েছে যাতে সিঙ্গেল বাবা মা বা ডিভোর্স পরিবারের সন্তানদের সাহায্য করার জন্য। যাতে করে তারা পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার সময় কোন রকম অসুবিধায় না পড়ে।
৪. ঠিকানার গোপনীয়তা পরিবর্তন
নতুন নিয়মে পাসপোর্ট আবেদনকারীদের আবাসিক ঠিকানা আর পাসপোর্ট এর শেষ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত হবে না। আসলে পাসপোর্ট ধারীদের গোপনীয়তা বাড়ানোর জন্যই সরকার এই পরিবর্তন করেছে। তবে প্রয়োজন হলে ইমিগ্রেশন অফিসাররা বারকোড স্ক্যান এর মাধ্যমে এই তথ্য এক্সেস করতে পারবেন, তবে এটি সার্বজনীনভাবে দৃশ্যমান হবে না।
৫. নবজাতকের জন্য জন্ম প্রমাণপত্র হিসেবে জন্ম প্রমান
যে সমস্ত নবজাতক শিশুরা ২০২৩ সালের অক্টোবরের ১ তারিখ বা তার পরে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং তাদের জন্য কিন্তু পাসপোর্ট তৈরি করতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারি করা জন্ম সনদই জন্ম তারিখের একমাত্র গ্রহণযোগ্য প্রমাণ হবে। অর্থাৎ ২০২৩ সালের অক্টোবরের পরে যারা জন্মগ্রহণ করবে তাদের কিন্তু জন্ম প্রমান পত্র হিসেবে ডেট অফ বার্থ সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে।