সকালের তীব্র ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ! কলকাতাতেও অনুভূত, রিখটার স্কেলে ৭.১ মাত্রা

Published on:

Severe Earthquake of 7.1 Magnitude Shakes Kolkata and the Entire Country

নতুন বছরের শুরুতেই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল-তিব্বত সীমান্ত। শুধু নেপাল তিব্বত নয় সে কম্পন অনুভূত হলো দিল্লি, কলকাতা, উত্তরবঙ্গ, বিহার, আসাম, এমনকি সিকিমেও। এছাড়া বাংলাদেশ, ভুটান, এবং চীনেও এ কম্পন টের পাওয়া গেছে।

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

বছরের শুরুতেই কেঁপে উঠল নেপাল সীমান্ত। পরপর ছবার কেঁপে উঠেছে এই এলাকার মাটি। জানা গেছে রিখটার স্কেলে প্রথম জোরালো কম্পনটির মাত্রা ছিল ৭.১। তবে সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে এখনো পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সঠিকভাবে এখনো ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কোন রকম তথ্য জানা যায়নি।

ভূমিকম্পের সময়

নেপাল তীব্র সীমান্তে ভূমিকম্পটা প্রথম হয় মঙ্গলবার সকাল ৬ঃ৩৫ মিনিটে। যার মাত্রা ছিল ৭.১। কিছুক্ষণের মধ্যেই আফটার শক অনুভূত হয় নেপাল-তিব্বত সীমান্তে অবস্থিত শিজ়াংয়ে। সকাল ৭ টা ২ মিনিটে সেই কম্পনের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৪.৭। এরপর ৫ মিনিটের মধ্যে তৃতীয় কম্পন অনুভূত হয় যার মাত্রা ছিল ৪.৯। তৃতীয় কম্পনের 6 মিনিট পর পাঁচ মাত্রার একটি কম্পন হয়। প্রথম কম্পন দুটি হয় ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার ভেতরে বা গভীরে। তৃতীয় কম্পনটি হয় ৩০ কিলোমিটার গভীরে। আর দুবার অনুভূত হয় বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে।

চীনের সংবাদমাধ্যমের বক্তব্য

এই কম্পনটি চিনেও অনুভূত হয়েছে। তবে চীনের সংবাদমাধ্যমের দাবি এ ছয়টি কম্পনের মধ্যে একটি ছিল 6.8 মাত্রার যা অনুভূত হয়েছে শিগাতসে শহরে। সংবাদ মাধ্যমের আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে এই শহরে গত পাঁচ বছরের মোট ২৯ টি ভূমিকম্প হয়েছে মঙ্গলবার তার মধ্যে সবচেয়ে জোরালো মাত্রার কম্পন হয়েছে।

কোথায় কোথায় কম্পন অনুভূত হয়

তিব্বতের পরপর কম্পনের আফটার শখে কেঁপে উঠেছিল নেপাল, ভুটান, দিল্লি, কলকাতা, বিহার, আসাম, সিকিম। যেহেতু কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.১ ফলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তবে নেপালের রাজধানীর কাঠমান্ডুতে সাতসকালে কম্পনের ফলে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়। সংবাদ সংস্থা এএনআইতে কাঠমান্ডুর বাসিন্দা অধিকারী বলেন যে তিনি সকালে যখন ঘুমোচ্ছিলেন তখন আচমকায়ে খাট কাঁপতে শুরু করে, তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন হয়তো বাচ্চা খাট কাঁপাচ্ছে তখন তিনি গুরুত্ব দেননি। কিন্তু পরে যখন তিনি দেখলেন যে জানালাও কাঁপছে তখন তিনি বুঝতে পেরেছেন যে ভূমিকম্প হচ্ছে। তখন তিনি দুটো বাচ্চাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।

তিব্বতের পরপর কম্পনের আফটার শকে ভূমিকম্প অনুভূত হয় কলকাতা এবং উত্তরবঙ্গেও। কলকাতার মোট দুবার সে কম্পন অনুভূত হয় এছাড়া ভূমিকম্প টের পাওয়া গিয়েছিল দার্জিলিং, শিলিগুড়ি এবং কোচবিহারে।

ভূমিকম্পের কারণ

তিব্বতে এর আগে জোরালো ভূমিকম্প হয়েছিল ২০২৩ সালে নভেম্বর মাসে ৬.৪ মাত্রার। আর এবার ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.১। তবে ২০২৩ সালের ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল এবং একাধিক বহুতল বাড়িও ভেঙ্গে পড়েছিল। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এই স্থানে বারবার ভূমিকম্প হওয়ার মূল কারণ হিসেবে বলেছেন যে এই অঞ্চলের ভারতীয় প্লেটের সঙ্গে ইউরেশীয় প্লেটের ঘন ঘন সংঘর্ষণের কারণে নাকি এই এলাকাতে ভূমিকম্প প্রবণ হয়ে উঠেছে।

Amit Sarkar

অমিত Daily Khabor Bangla ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি ৫ বছর ধরে সংবাদ জগতে কাজ করছেন এবং বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে লেখালেখির অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। বিশেষ করে দেশ, বিদেশ এবং সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে বিশ্লেষণ এবং লেখালেখি তাঁর প্রধান আগ্রহ। পেশার পাশাপাশি অমিত ভ্রমণ, বই পড়া এবং গান শুনতে ভালোবাসেন।