অমিত সরকার, নয়া দিল্লি: দিল্লির বিধানসভা ভোট আর কিছুদিন পরেই। আর এই ভোটের আগেই বিপাকে আম আদমি পার্টি প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আসলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হল ED কে কেজরিওয়াল ও দিল্লির প্রাক্তন মন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে আবগারি দুর্নীতিতে অবৈধভাবে টাকা পাচারের অভিযোগের তদন্ত করতে। আজ বুধবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা কেজরিওয়ালের।
আসলে গত নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে সরকারী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করতে হলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আগে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে হবে। সে কারণেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে আবগারি দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার জন্য ED কে অনুমোদন দিয়েছে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা। আসলে ED কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি চেয়ে দিল্লির এই গভর্নরকে চিঠি পাঠিয়েছিল। ED দাবি করেছিল আবগারি দুর্নীতির কিংপিন ও মূল ষড়যন্ত্রকারী দিল্লি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও আপ প্রধান কেজরিওয়াল। ED র পক্ষ থেকে চিঠি পাওয়ার পরে এই ভিকে সাক্সেনা ED কে তদন্তের অনুমতি দেয়। ভিকে সাক্সেনার অনুমতি দেওয়ার পরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও সেই অনুমোদন দেয়।
চার্জশিট বেআইনি
আসলে যখন কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে আবগারি দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয় তখন দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন আম আদমি পার্টির প্রধান। সে মামলায় তার বক্তব্য ছিল যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তার ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট পেশ করেছে তা একেবারে বেআইনি। কারণ সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য ED কে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের অনুমতি নিতে হয় যা তারা নেয়নি।
ED র বক্তব্য
অপরদিকে ED র অভিযোগ ছিল ২০২১ থেকে ২০২২ সালের দিল্লির আবগারি নীতি দুর্নীতিতে ভরা। যদিও এখন সেই নীতি বাতিল হয়েছে কিন্তু ইডি দাবি করে যে আবগারি নীতিতে নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁক রাখা হয়েছিল। যাতে সেই ফাঁক দিয়ে কেজরিওয়াল, মনীশ সিসোদিয়া ও আরো কয়েকজন আপ নেতা মদ প্রস্তুতকারক সংস্থা গুলির থেকে ঘুষ নিতে পারে। এবার যেহেতু ইডি অনুমতি পেয়ে গেছে তাই আবারও বিধানসভা ভোটের আগে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে পারে।