আপনারা মোটামুটি সকলেই জানেন যে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কথা। এটা জানেন কি এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের মতো আরেকটি প্রকল্প রয়েছে শিশুসাথী প্রকল্প। এই শিশুসাথী প্রকল্পের কথা অনেকেরই অজানা। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে যেমন বড়রা অসুস্থ হলে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে উপকার পেয়ে থাকেন, তেমনি শিশুদের জন্য একটি নতুন প্রকল্প চালু হয়েছে যার নাম শিশুসাথী প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুরা যদি অসুস্থ হয়ে থাকে তাহলে এই শিশুসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পাবে। ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিশুদের জন্য শিশুসাথী প্রকল্প চালু করেন। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক শিশুর চিকিৎসা হয়েছে। কিন্তু এখনো অনেক অভিভাবক রয়েছে যারা এই প্রকল্পের কথা জানেনা। শিশুসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে একেবারে হতদরিদ্র পরিবারগুলিও তাদের সন্তানদের উন্নতমানের চিকিৎসার সুযোগ করে দিতে পারে। তো এই শিশুসাথী প্রকল্পের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই আমাদের এই প্রতিবেদনটি প্রথম থেকে শেষ অবধি পড়তে হবে।
সুচিপত্র
শিশুসাথী প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য বা সুবিধা
এবার আমরা দেখে নেব যে শিশুসাথী প্রকল্পের দ্বারা মূলত কি রকম সুবিধা পাওয়া যায়।
(১) শিশুর জন্মের থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুরা যদি অসুস্থ হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে তারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা করার সুযোগ পাবেন।
(২) তবে শিশুর কিন্তু সব রকম অসুখের জন্য এই শিশুসাথী প্রকল্প সুবিধা পাবেন না। তার জন্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ড আছে। কিন্তু শিশুদের যদি হৃদযন্ত্রের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সে ক্ষেত্রে চিকিৎসার জন্য শিশুসাথী প্রকল্পর সুবিধা পাবেন শিশুর পরিবারের লোকজন।
(৩) অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক শিশুই জন্ম থেকে তাদের হৃদযন্ত্রের অসুখ নিয়ে জন্ম নেয় শিশুরা, সমস্ত শিশুদের চিকিৎসার খরচও হয় প্রচুর এবং অনেক সময় বহুমূল্যের অস্ত্রোপচার না করলে যে কোন বিপদ ঘটে যেতে পারে এরকম সম্ভাবনাও থাকে। এই সকল শিশুদের জন্যই এই প্রকল্পের ব্যবস্থা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এবং চিকিৎসার যাবতীয় যে খরচাপাতি, তাও বহন করবে এই পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
কোন কোন হাসপাতালে এই প্রকল্পের সুবিধা রয়েছে?
১) এসএসকেএম হাসপাতাল।
(২) বি এম বিড়লা হাসপাতাল।
(৩) আরজি কর মেডিকেল কলেজ।
(৪) বি সি রায় মেমোরিয়াল হসপিটাল ফর চিলড্রেন।
(৫) দুর্গাপুর মিশন হাসপাতাল।
(৬) আর এন টেগোর, ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিয়াক সায়েন্সেস।
উপরোক্ত এই হাসপাতাল গুলিতেই শিশুসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে চিকিৎসা করাবার সুবিধা রয়েছে।
আরও পড়ুন: লাখপতি দিদি প্রকল্প: এবারে লক্ষাধিক টাকা পাবেন মহিলারা, দেখুন আবেদন পদ্ধতি
কারা কারা পাবে শিশুসাথী প্রকল্পের সুবিধা?
দেখিনি কারা কারা এই শিশুসাথী প্রকল্পের সুবিধা পাবে-
(১) শিশুসহ শিশুর মা-বাবাকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
(২) মা বাবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিশুর আধারকার্ড থাকতে হবে।
(৩) নির্দিষ্ট কয়েকটি হাসপাতালেই একমাত্র এই চিকিৎসার সুবিধা পাওয়া যাবে।
(৪) অভিভাবকদের বছরে আয় কত? সেই আয়ের প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।
(৫) শিশুদের বড় কোন অসুখ হলেই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন শিশুর পরিবারের লোকজন। যেমন হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুরা এই সুবিধা পাবে।
শিশুসাথী প্রকল্প সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে হলে শিশুসাথী প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনারা বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য জেলার স্বাস্থ্য অধিকারীকের সঙ্গে দেখা করতে হবে শিশুর অভিভাবকদের। তারপর নিয়মমাফিক আবেদন জানালে প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে।
সুমি ডেইলি খবর বাংলার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং একজন অভিজ্ঞ সংবাদ প্রণেতা। সংবাদ জগতে তার ৩ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, রাজনীতি, এবং সরকারি প্রকল্পের উপর নির্ভরযোগ্য ও তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন তৈরি করতে সুমি বিশেষ পারদর্শী। তার কাজের প্রতি আন্তরিকতা এবং সংবাদ উপস্থাপনার দক্ষতা এই প্ল্যাটফর্মকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। পাঠকদের কাছে সঠিক ও বিশ্লেষণমূলক তথ্য পৌঁছে দেওয়াই তার প্রধান লক্ষ্য।