রাজ্য সরকার বিভিন্ন দরিদ্র মানুষের সহায়তার জন্য নানা রকম প্রকল্প তৈরি করেছে যার মধ্যে একটি হল রেশন পরিষেবা। এই রেশন পরিষেবার মাধ্যমে দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাসকারী ব্যক্তিদের ভর্তুকিযুক্ত হারে খাদ্য সরবরাহ করা হয়।জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনের (NFSA) অধীনে যোগ্য ব্যক্তিদের রেশন কার্ড দেওয়া হয়ে থাকে। আর সেই কার্ড দেখিয়েই সরকারি রেশন দোকান থেকে কম মূল্যে খাদ্যশস্য পেতে পারেন কার্ড হোল্ডাররা।
রেশন কার্ড হোল্ডারদের জন্য বড় ঘোষণা
মূলত রেশন দুর্নীতি দূর করার জন্যই, রেশন কার্ডের সুবিধা সঠিক মানুষদের কাছে পৌঁছানোর জন্য সরকারের তরফ থেকে সমস্ত রেশন কার্ডের জন্য একটি ই-কেওয়াইসি (ইলেকট্রনিক নো ইউর কাস্টমার) প্রক্রিয়া চালু করেছে। সরকার কয়েক মাস আগেই এই ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়াটা সম্পূর্ণ করা বাধ্যতামূলক করেছে। যার শেষ তারিখ ছিল ১/৯/২০২৪। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আরো দিন বাড়িয়ে সেই সময়সীমা বেড়ে হয়েছে ১/১২/২০২৪।
ই-কেওয়াইসি না করলে কি হবে?
কোন রেশন কার্ড হোল্ডার যদি নিজের ই-কেওয়াইসি না করে থাকে ১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখের মধ্যে, তবে তার নাম রেশন কার্ড ডাটাবেস থেকে মুছে ফেলা হবে। অর্থাৎ মূল কথা হলো ই-কেওয়াইসি না করা থাকলে আপনার রেশন কার্ড বাতিল হয়ে যাবে। আর যদি কার্ড বাতিল হয়ে যায় তাহলে আর রেশন দোকান থেকে কোন রকম ভর্তুকিযুক্ত রেশন নিতে পারবে না।
কেনো E- Kyc গুরুত্বপূর্ণ?
E-kyc করার মূল কারণ হলো এর মাধ্যমে শুধুমাত্র যোগ্য ব্যক্তিদের এই রেশন সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। এর ফলে সরকার সঠিক ডেটা দেখে ডুপ্লিকেট এবং জাল রেশন কার্ডগুলি বাতিল করতে পারবে। যাতে করে খাদ্য ভর্তুকি সঠিক লোকেদের কাছে পৌঁছে দেওয়া সহজ হবে।
কিভাবে ই-কেওয়াইসি সম্পূর্ণ করবেন?
আপনি যদি এখনো আপনার ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন না করে থাকেন, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি এই কাজটি করে নেওয়া উচিত। আপনি যদি নিজের রেশন কার্ডের ই-কেওয়াইসি সম্পূর্ণ করতে চান তাহলে নীচের ধাপ গুলো দেখে রাখুন-
- ব্যক্তিকে এলাকার সরকারি রেশন বিতরণের দোকানে যেতে হবে।
- সেখানে গিয়ে আপনি একটি পয়েন্ট অফ সেল (POS) মেশিন ব্যবহার করে নিজের কেওয়াইসি করাতে পারবেন।
- এই কাজ করার জন্য আপনাকে সেই রেশন দোকানের ডিস্ট্রিবিউটরই সাহায্য করবে।
যদি আপনি আপনার রেশন কার্ড বাতিল হওয়া থেকে বাঁচাতে চান তাহলে ডিসেম্বরের 1 তারিখের আগেই ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে নিতে হবে। আরো বিস্তারিত ভাবে জানতে হলে অবশ্যই নিজস্ব এলাকার রেশনের দোকানে চলে যান।
সুমি ডেইলি খবর বাংলা ওয়েবসাইটের সহ প্রতিষ্ঠাতা। সুমির সংবাদ জগতে তিন বছরের বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। সে সরকারি প্রকল্প বিষয় বস্তু সম্পর্কিত খবর তৈরি করতে এবং আপনাদের শেয়ার করতে ভালোবাসেন। সুমি সবসময় চেষ্টা করে আপনাদের সেরা এবং সঠিক খবর প্রদান করার।