রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ার মন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটেছে জেজু এয়ারের একটি বিমান অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে পিছলে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তবে এখনো পর্যন্ত ২ জনের জীবিত থাকার খবর পাওয়া গেছে।
দুর্ঘটনার বিবরণ
দুর্ঘটনাটি ঘটে বিমান বিমানবন্দরে অবতরণের সময়। আসলে বিমানটি ব্যাংকক থেকে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু সদস্য নিয়ে ফিরছিল স্থানীয় সময় অনুযায়ী ৯ টা ৭ মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ অঞ্চলে অবস্থিত মুয়ান বিমানবন্দরে ল্যান্ড করার সময় বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং একটি বেড়ার সঙ্গে ধাক্কা খায়। স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি অনুযায়ী জানা যায় যে সেই ধাক্কা খাওয়ার পরই বিমানে আগুন লেগে যায় এবং বিমান থেকে ধোঁয়া বের হতে শুরু হয় ।
আশঙ্কা জনক পরিস্থিতি
এ বিমান দুর্ঘটনা হওয়ার ফলে সে বিমানবন্দরটি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।বিমান চলাচলে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটেছে ঘটনাস্থলে। উদ্ধারকর্মীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং বিমানটি ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
উদ্ধার কার্য ও সরকারি পদক্ষেপ
দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সুং – মোক দ্রুত ত্রাণ ও উদ্ধার কাজকর্ম পরিচালনা নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া আহত যাত্রীদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
স্থানীয় মিডিয়া ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতামত
ইয়োন হাপ নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গেছে যে অবতরণের সময় বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে বিমানটি ভুমিতে আছড়ে পড়ার সাথে সাথে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
এই দুর্ঘটনার ফলে দক্ষিণ কোরিয়া জুড়ে শোকের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।
সুমি ডেইলি খবর বাংলার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং একজন অভিজ্ঞ সংবাদ প্রণেতা। সংবাদ জগতে তার ৩ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, রাজনীতি, এবং সরকারি প্রকল্পের উপর নির্ভরযোগ্য ও তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন তৈরি করতে সুমি বিশেষ পারদর্শী। তার কাজের প্রতি আন্তরিকতা এবং সংবাদ উপস্থাপনার দক্ষতা এই প্ল্যাটফর্মকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। পাঠকদের কাছে সঠিক ও বিশ্লেষণমূলক তথ্য পৌঁছে দেওয়াই তার প্রধান লক্ষ্য।