স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে বড় পরিবর্তন! রাজ্য সরকারের কাটছাঁট, জানুন কী সুবিধা বাদ পড়ল

Amit Sarkar

Updated on:

Swasthya Sathi

রাজ্য সরকারের মানুষের জন্য বিভিন্ন রকম প্রকল্পের মধ্যে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প হল অন্যতম। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষ বিনা পয়সায় চিকিৎসা করাতে পারে। তবে বর্তমানে রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়ে পশ্চিমবঙ্গবাসীদের জন্য রয়েছে জরুরি বার্তা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে গরিব অসহায় মানুষদের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডটি তৈরি করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের কারণে অনেকের জটিল অপারেশন সম্পূর্ণ বিনা খরচাই করতে পেরেছেন। তবে এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার চলুন দেখে নেওয়া যাক কি কি পরিবর্তন হয়েছে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে।

সুবিধা কমলো Swasthya Sathi প্রকল্পে

জানা গিয়েছে যে বর্তমানে এ প্রকল্পের আওতায় অর্থ সাহায্য কম করতে চলেছে রাজ্য সরকার। আগে চিকিৎসার জন্য যে টাকা পাওয়া যেত তার অর্ধেক টাকা দেওয়া হবে এবার থেকে। আর এই কথাটা শুনা মাত্রই গরিব মানুষের মাথায় হাত পড়েছে। আসলে স্বাস্থ্য সাথী আওতায় রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বীমা বা হেলথ ইন্সুরেন্স দেওয়া হতো। এছাড়া সেই সঙ্গে বাড়তি সুবিধা হিসেবে রোগীরা হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার জন্য পরিবহন ভাতা পেত।

আগে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে কোন রোগী হসপিটালে ভর্তি হলে পরিবহন ভাতা পে। যদি রোগীর বাড়ি ও হাসপাতাল একই জায়গায় হয়, তাহলে তারা ৪০০ টাকা করে পেতো পরিবহন ভাতা হিসেবে, আর যদি বাইরের জেলায় হাসপাতাল হয় তাহলে ৬০০ টাকা করে পেত পরিবহন ভাতা। এবার থেকে নাকি সেই পরিবহন ভাতাই অর্ধেক করা হলো অর্থাৎ সর্বোচ্চ 200 টাকা করে দেওয়া হবে এরপর থেকে।

Swasthya Sathi প্রকল্পে পরিবর্তনের কারণ?

স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের দায়িত্ব সরাসরি রাজ্য সরকারের হাতে চলে আসে ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে। সরকার হাতে নেওয়ার আগে একটি পরিচালিত হতো বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পটি ইনসিওরেন্স মোড থেকে অ্যাসিওরেন্স মোডে স্থানান্তরিত হওয়ার পর থেকেই এই খরচ কমানোর বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকার বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার অংশ হিসেবেই পরিবহন ভাতা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে এখানেও একটি পরিবর্তন হয়েছে সেটা হলো সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে আগে পরিবহন ভাতা বা বদ হাসপাতালে ৪০০ টাকা এলেও তার মধ্যে ২০০ টাকার রোগীর পরিবার পেত না বাকি 200 টাকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হতো। তবে এখন নতুন নিয়মে ২০০ টাকায় সীমাবদ্ধ থাকবে।

জনগণের প্রতিক্রিয়া

রাজ্য সরকারের এরকম সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষ এবং বিশেষজ্ঞ মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এক্ষেত্রে অনেকেই মনে করছেন যে এই পরিবর্তন রোগীদের জন্য আর্থিকভাবে আরও চাপ সৃষ্টি করবে। যারা অনেক দূর থেকে বা অত্যন্ত গ্রাম থেকে শহরের চিকিৎসার জন্য আসছেন তাদের যাতায়াতের খরচা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার অনেকেই এই রাজ্য সরকারের পদক্ষেপকে সঠিক বলেও মনে করছেন। কারণ স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে যথেষ্ট খরচ এবং দুর্নীতি বন্ধ করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কারণ অনেক জায়গাতেই শোনা যাচ্ছে যে এই টাকা নাকি বেআইনিভাবে নেওয়া হচ্ছে বা রোগীদের বেশি বেশি বিল বানিয়ে টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। গত বছর ডিসেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভায় এই প্রকল্পের টাকার অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। তারপর তিনি অবশ্য টাকা সঠিক ব্যবহার হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য ডবল চেকিং এর নির্দেশ দেন এছাড়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেও কথা বলেন।

নতুন বছরে নতুন নিয়ম হলো লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে! ঘোষণা মমতার

Swasthya Sathi প্রকল্পে নতুন নিয়মের অসুবিধা

স্বাস্থ্য সাথী পরিবহন ভাতা কমানোর ফলে কি কি প্রভাব পড়তে পারে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে! তেমনি বেশ কিছু কারণ নীচে আলোচনা করা হলো।

রোগীর যাতায়াত খরচ বৃদ্ধি

যারা অত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা থেকে শহরে চিকিৎসার জন্য আসে সেই রোগীদের খরচ অনেকটা বেড়ে যাবে।

পরিষেবায় ঘাটতি আশঙ্কা

অনেকেই মনে করছেন কম ভাতার কারণে কিছু মানুষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করতে বাধাগ্রস্ত হতে পারেন।

প্রকল্পের প্রতি মানুষের আস্থা

সরকারের দিক থেকে এই নতুন ব্যবস্থায় খরচ কমলেও, অনেকেই মনে করছেন প্রকল্পের প্রতি মানুষের আস্থা কিছুটা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলা আবাস যোজনা হেল্পলাইন নম্বর, দ্রুত সমাধান পান!