ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার জন্য রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন রকম স্কলারশিপের আয়োজন করেছে। বিভিন্ন রকম স্কলারশিপ গুলির মধ্যে আরেকটি স্কলারশিপ হলো বিকাশ ভবন স্কলারশিপ। আজকের এই প্রতিবেদনে এই স্কলারশিপ সম্পর্কে আলোচনা করেছি, যেমন কারা কারা আবেদন করতে পারবে? আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগবে? কিভাবে আবেদন করবে? প্রভৃতি সমস্ত কিছু বিষয় নিয়ে।
সুচিপত্র
বিকাশ ভবন স্কলারশিপ 2024
বিভিন্ন স্কলারশিপ গুলির মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য স্কলারশিপ হলো বিকাশ ভবন স্কলারশিপ বা স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ। পশ্চিমবঙ্গের দরিদ্র মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কলারশিপ টি চালু করা হয়েছে। এই স্কলারশিপ এর মাধ্যমে ছাত্রদের বিভিন্ন শিক্ষাগত যোগ্যতার বিচারে প্রতিমাসে ১০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত স্কলারশিপ হিসেবে দেওয়া হয়।
কারা কারা পাবে বিকাশ ভবন স্কলারশিপের টাকা?
- স্কলারশিপ দেওয়া হয় উচ্চ মাধ্যমিক ক্লাস থেকে পরবর্তী উচ্চতর ক্লাস পর্যন্ত। যেমন উচ্চ মাধ্যমিক থেকে শুরু করে স্নাতক, স্নাতকোত্তর সহ সব স্তর, ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিপ্লোমা, পলিটেকনিক, প্রভৃতি ক্ষেত্রেই ছাত্রছাত্রীরা এই স্কলারশিপের সুবিধা পেয়ে থাকে।
- স্কলারশিপে সুবিধা পেতে হলে ছাত্রছাত্রীদের পশ্চিমবঙ্গের একজন স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
- ছাত্রছাত্রীদের পারিবারিক বাৎসরিক আয় 2.5 লক্ষ টাকার কম হতে হবে।
- নবান্ন স্কলারশিপ বা উত্তর কন্যা স্কলারশিপ সহ অন্য যে কোন সরকারি স্কলারশিপে আবেদন করেছেন অথবা যেকোনো স্কলারশিপের সুবিধা ভোগ করছেন তারা এই বিকাশ ভবন স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে না।
- এক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের কিন্তু আগের বছরের পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে তাহলে এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে।
বিকাশ ভবন স্কলারশিপের জন্য ছাত্র ছাত্রীদের নূন্যতম যে নম্বর থাকতে হয়
- যাদের বর্তমান কোর্স উচ্চমাধ্যমিক তারা কিন্তু আগের বছরের পরীক্ষার নম্বর অনুযায়ী স্কলারশিপ পাবে, তো সেক্ষেত্রে তাদের ৬০% নম্বর থাকতে হবে।
- যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা স্নাতক স্তর (কলা/বাণিজ্য/বিজ্ঞান/অন্যান্য ইউজিসি অনুমোদিত পেশাদারি কোর্স) এর ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের এর আগের বছরের পরীক্ষা ৬০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে।
- যারা স্নাতকোত্তর (কলা/ বাণিজ্য /বিজ্ঞান/ পেশাদারী কোর্স) কোর্স এ পড়াশোনা করছে তাদের আগের বছরের পরীক্ষায় ৫৩% নম্বর থাকতে হবে।
- যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা পলিটেকনিক, স্নাতক স্তর (মেডিকেল ডিগ্রী) এবং ডিপ্লোমা কোর্স এ পড়াশোনা করছে তাদের আগের বছরের পরীক্ষা ৬০% নম্বর থাকতে হবে।
উপরোক্ত কোর্সগুলোতে যথাযথ নম্বর থাকলে কিন্তু তারা এই স্কলারশিপের জন্য যোগ্য।
বিকাশ ভবন স্কলারশিপে কত টাকা পাওয়া যায়?
স্কলারশিপের কথা শুনলে ছাত্রছাত্রীদের মনে একটি প্রশ্ন জাগে এই যে স্কলারশিপের মাধ্যমে তারা কত টাকা করে পাবে? এক্ষেত্রে কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের যে কোর্সে পড়াশোনা করছে তার আগের বছরের কোর্সের পরীক্ষার নম্বর অনুযায়ী তারা স্কলারশিপের টাকা পাবে। স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ বা বিকাশ ভবন স্কলারশিপ এর মাধ্যমে সরকার কোন ক্লাসে কত করে দেবে তা নীচে দেওয়া হল।
- উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা কালে ছাত্রছাত্রীরা এই স্কলারশিপের মাধ্যমে মাসিক ১০০০ টাকা করে পাবে।
- স্নাতক স্তর (কলা/ বাণিজ্য) এই স্তরে পড়ুয়ারা মাসে ১০০০ টাকা করে পাবে।
- স্নাতক স্তর (বিজ্ঞান/ অন্যান্য ইউজিসি অনুমোদিত পেশাদারি কোর্স) পড়ুয়ারা মাসে ১৫০০ টাকা করে পাবে।
- স্নাতকোত্তর স্তর (কলা/ বাণিজ্য) এ পড়াশোনা করার মাসে ২০০০ টাকা করে পাবে।
- স্নাতকোত্তর (বিজ্ঞান/ পেশাদারী কোর্স) এ ছাত্রছাত্রীরা ২৫০০ টাকা করে পাবে।
- পলিটেকনিক কোর্স এ যারা পড়াশোনা করছে তারা এই স্কলারশিপ অনুযায়ী মাসে ১৫০০ টাকা করে পাবে।
- স্নাতক স্তর (মেডিকেল ডিগ্রি) এবং ডিপ্লোমা কোর্স এর ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীরা মাসে ৫০০০ টাকা এবং ১৫০০ টাকা পেয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: কন্যা সন্তান থাকলেই পাবেন ১,০০০ টাকা করে, এখুনি আবেদন করুন
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
- আবেদনকারীর জন্মের শংসাপত্র হিসেবে মাধ্যমিকের এডমিট কার্ড।
- শেষ পরীক্ষার মার্কশিট।
- শেষ পরীক্ষার এডমিট কার্ড।
- পারিবারিক বার্ষিক আয়ের শংসাপত্র।
- আবেদনকারীর আধার কার্ড /ভোটার কার্ড /রেশন কার্ড।
- আবেদনকারীর ব্যাংকের পাসবুক।
- নতুন কোর্সে ভর্তির রশিদ।
আবেদন পদ্ধতি
এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারীদের অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিন্স স্কলাশিপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে তোমরা স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করতে পারবে। নিচে আমরা সরাসরি কিভাবে আবেদন করতে হবে তার একটি PDF দিয়ে দিয়েছি সেখানে তোমরা দেখে নিতে পারবে স্টেপ বাই স্টেপ কিভাবে আবেদন করতে হবে।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট | SVMCM(V4.0) |
আবেদন প্রক্রিয়া PDF | Download |
ইন্দ্রাণী সংবাদ জগতে ৩ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বিশেষভাবে শিক্ষা এবং চাকরি সম্পর্কিত খবর তৈরি এবং পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে ভালোবাসেন। পাঠকদের শিক্ষামূলক ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত মূল্যবান তথ্য প্রদান করা তার প্রধান লক্ষ্য।