রাজ্যের সমস্ত সরকারি প্রকল্পের কাজ সার্ভে করার জন্য আধিকারিকদের নিয়ে একটি দল গঠন করল রাজ্য সরকার। তার জন্য ফিল্ড ইন্সপেকশন অ্যাপ বলে একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে সমস্ত সরকারি প্রকল্পের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য এবং একটি করে ছবি আপলোড করে নবান্নে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন এই টিমের সদস্য সংখ্যা ৮৮ জন। কোচবিহার জেলায় এই কাজের জন্য আধিকারিকদের নিয়ে টিম গঠন করা হয়েছে।
২০১১ সালে তৃণমূল রাজ্যের ক্ষমতায় আসে। তারপর থেকে তার রাজ্যে রাজত্ব চলছে 14 বছর ধরে। এই সময়সীমার মধ্যে রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে সরকারি প্রকল্পের কাজ হয়েছে। তবে এতদিন সে কাজগুলো হয়েছে সেগুলো কি অবস্থায় রয়েছে সেটা দেখে নিতে চাইছেন রাজ্য সরকার তার জন্যই এই টিম তৈরি করা হয়েছে। এই কাজ শুরু হয়েছে নতুন বছরের জানুয়ারি মাসের ৩ তারিখ থেকে।
নতুন টিমের কাজ
এক্ষেত্রে আধিকারিকরা তাদের নির্দিষ্ট দপ্তরের কাজগুলো গ্রামে, গঞ্জে ঘুরে ঘুরে দেখবেন এরপর প্রকল্প গুলোর বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য এবং একটি করে ছবি তুলে সরকারের কাছে দেবেন। চলতি মাস জুড়ে এই কাজ চলবে।
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে বড় পরিবর্তন! রাজ্য সরকারের কাটছাঁট, জানুন কী সুবিধা বাদ পড়ল
সরকারি সূত্রে খবর
সরকারি সূত্রে জানা যায় যে কোথাও 10 বছর আগে নদীর বাঁধ তৈরি হলেও আজকে তার সংস্কার প্রয়োজন। আবার কোথাও অঙ্গনওয়ারী সেন্টারের ঘর ভেঙে পড়েছে, আবার কোথাও কয়েক বছর আগে তৈরি হওয়ার রাস্তা ভেঙ্গে চুরে গেছে, কোথাও কোথাও স্কুলে পানীয় জল নেই, আবার কোথাও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রাজ্য সরকার ঘর তৈরি করে দিলেও সেখানে চিকিৎসকের অভাব রয়েছে এই সমস্ত প্রয়োজনের নির্দিষ্ট দপ্তরে আধিকারিকরা নোটবন্দি করছেন তারপর সব তথ্য তুলে দিবেন নির্দিষ্ট অ্যাপে।
এছাড়া মানুষের জন্য সরকার যে উন্নয়নমূলক কাজ করছে তার সঠিক সুবিধা মানুষজন পাচ্ছে কিনা আরও কি কি সমস্যা রয়েছে এ সমস্ত জিনিস সার্ভের মাধ্যমে দেখে নেওয়া হচ্ছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকার তাদের প্রকল্প নিয়ে একটি স্পষ্ট ধারণা নিতে চাইছেন।
তবে রাজনৈতিক মহলের অনুমান অনুযায়ী সরকার সার্ভে রিপোর্ট দেখে দপ্তর অনুযায়ী খামতি গুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবে এমনটাই ভাবা হচ্ছে। যাতে ভোট বাক্সে এর প্রতিফলন হয়। এর মাধ্যমে সব দপ্তরের কাজ খতিয়ে দেখবে এবং অনলাইনের মাধ্যমে তুলে দেওয়া হবে। সেখানে অঙ্গনারী সেন্টার বা মিড ডে মিলের খাবার ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছে কিনা সেটাও দেখা হবে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যেন কোনরকম আচঁ না আসে সেজন্যই সরকার সব দিক খতিয়ে দেখতে চাইছেন।
নতুন বছরে নতুন নিয়ম হলো লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে! ঘোষণা মমতার
অমিত ডেইলি খবর বাংলার প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। পশ্চিমবঙ্গের এবং ভারতের সংবাদ সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পরিবেশন করতে অমিত সর্বদা উদ্যমী। সংবাদ সংগ্রহ এবং তা পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রতি তার আগ্রহ এবং নিষ্ঠা এই প্ল্যাটফর্মকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সেরা এবং নির্ভুল খবর প্রদানই তার প্রধান লক্ষ্য।