প্রাথমিক শিক্ষায় পশ্চিমবঙ্গে বড় পরিবর্তন, জানুন সিলেবাস ও পরীক্ষার নিয়মে কী কী বদল?

Amit Sarkar

Updated on:

West Bengal Primary Education

রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় বড়সড় বদল আন্তে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এক্ষেত্রে নতুন বছর থেকে পরীক্ষার পদ্ধতির পাশাপাশি পাঠক্রমের বড় বদল আনা হচ্ছে বলে জানান প্রশাসন সভাপতি গৌতম পাল। এবার আমরা দেখে নেব প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে বদল আনতে চলেছে সে বদল আসলে কি বিষয় নিয়ে এবং কি কি। জানা গেছে যে এ বছরে একবার নয় দুবার সেমিস্টার নেওয়া হবে, এইরকমই সিদ্ধান্ত নিল পর্ষদ। এছাড়া নতুন বছর থেকে পরীক্ষার পাশাপাশি পাঠ্যক্রমেও বড় বদল আনা হচ্ছে। এবং নতুন পদ্ধতির নাম দেওয়া হচ্ছে ক্রেডিট বেসড সেমিস্টার সিস্টেম।

পরীক্ষার পদ্ধতিতে বদল

পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে আগে গোটা বছরে একটি সেমিস্টার বা পরীক্ষা নেওয়া হতো। এবং সেই সেমিস্টার বা পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে এই ছাত্র-ছাত্রীদের পরবর্তী শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করা হতো। কিন্তু সেই পরীক্ষাকে দুটি ভাগ করে নেওয়া হবে নতুন বছর থেকে। জানুয়ারি থেকে জুন এবং জুলাই থেকে ডিসেম্বর দুটি ভাগে ভাগ করা হচ্ছে গোটা বছরের পাঠ্যক্রমকে।

পরীক্ষার নম্বর বিভাজন

এক্ষেত্রে পরীক্ষার নম্বর বিভাজন করা হবে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে। প্রথম সেমিস্টারের বিষয় ভিত্তিক ৩০ নম্বরের সামেটিভ পরীক্ষা, ২০ নম্বর থাকছে বিভিন্ন প্রজেক্ট এর জন্য। দ্বিতীয় সেমিস্টারে আরো ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে, তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর জন্য মোট পাঁচটি বিষয় রয়েছে।

এক্ষেত্রে গোটা রাজ্যে একই প্রশ্নের পরীক্ষা হবে, প্রশ্নপত্র তৈরি করার দায়িত্বে থাকবে না কোন স্কুল l পর্ষদের তৈরি করা প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা নেওয়া হবে তবে উত্তর পত্র দেখার দায়িত্বে থাকবে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকার। তবে নতুন পদ্ধতিতে পাঠদানের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ট্রেনিং দেওয়া হবে।

ক্রেডিট স্কোর কিভাবে দেওয়া হবে

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এবং তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত আলাদা ক্রেডিট স্কোর দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে বছরের মোট ৩৭৬ ঘন্টা ক্লাস নেওয়া হবে আর এই ক্লাস করার উপরে দেওয়া হবে ক্রেডিট স্কোর। সর্বোচ্চ ক্রেডিট স্কোর পাওয়া যাবে ১৩.৫। অন্যদিকে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের বছরের ৪৬০ ঘন্টা করে ক্লাস নেওয়া হবে তবে তিন শ্রেণীর জন্য সর্বোচ্চ ক্রেডিট স্কোর হবে ১৬.৫।

সিলেবাসে বদল

পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণীর পর্যন্ত ক্লাসের সিলেবাস পরিবর্তন করা হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত সিলেবাস সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে ২০২৫ সালের পুরনো সিলেবাসেই পরীক্ষা নেওয়া হবে ২০২৬ সাল থেকে নতুন পাঠ্যক্রম চালু হবে।

পরিবর্তনের কারণ

তবে কেন এই পরিবর্তন? পর্ষদ সভাপতি জানান, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্যই পরীক্ষা পদ্ধতি এবং যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সিলেবাস গঠন করা হবে। গৌতম পাল বলেন সরকারের সহযোগিতায় এই সাহসী পদক্ষেপ করতে পারছি। পড়ুয়ারা ছোট থেকে এই পদ্ধতির সঙ্গে মানিয়ে নিলে ভবিষ্যতে অসুবিধায় পড়তে হবে না তাদের।