কলকাতা হাইকোর্টের বড় নির্দেশ পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি স্কুলে বাংলা ভাষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজস্টিক মাইনোরিটি অ্যাসোসিয়েশন এর দাবি যে দিনে দিনে যেভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলা ভাষার গুরুত্ব হারাচ্ছে তাতে বাংলা ভাষাকে আবার তার হারানো গৌরব ফিরিয়ে দিতে হবে।
স্কুলে বাংলা ভাষাকে বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
জানা যাচ্ছে এ রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে বাংলা ভাষাকে বাধ্যতামূলক করার জন্য তার দাবি নিয়ে কলকাতার রানী রাসমণি অ্যাভিনিউতে ধর্নায় বসতে চলেছে এই এসোসিয়েশন। প্রথমে এই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে অনুমতি চাইতে গিয়েছিল ধর্নায় বসার দাবি নিয়ে, তবে সেখানে পুলিশ সরাসরি তাদের না করে দেয়। পুলিশের কাছে অনুমতি না মিললেও হাল ছাড়েননি তারা, এরপর এই দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টে।
হাইকোর্টে দ্বারস্থ হওয়ার পর বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ধর্নায় বসার জন্য পুলিশকে অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। জানা যাচ্ছে আগামী কাল ২২শে ডিসেম্বর দুপুর ১ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত এই ধর্নায় বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেই সংস্থাকে। ধর্নায় বসার অনুমতি দেওয়ার সাথে সাথে তাদের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি যান চলাচল পরিষেবার স্বাভাবিক রাখারও নির্দেশ দিয়েছে। অপরদিকে এই বাংলা ভাষা প্রতিটি স্কুলে বাধ্যতামূলক করার বিষয় নিয়ে গত বছরের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন রাজ্য সরকার স্কুল স্তরে ত্রি ল্যাঙ্গুয়েজ বা তিনভাষার ফর্মুলা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী প্রথম ভাষা যে কোন মাতৃভাষা বা অঞ্চলের ভাষা হতে পারে আর বাকি দুটো ভাষা পছন্দ করে নিতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। এক্ষেত্রে কোন ছাত্রছাত্রীর উপরে কোন কিছু চাপিয়ে দেওয়া হবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি।
সে সময় মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছিলেন বাংলায় বেশিরভাগ স্কুল গুলি বাংলা মিডিয়াম তাই যারা বাংলা মিডিয়ামে পড়ে বাংলা নিয়ে এবং বাকি দুটো ভাষা নিজে বেছে নিতে পারবে। এতে ছাত্রছাত্রীদের উপর কোন রকম চাপ সৃষ্টি করা হবে না তারা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী ভাষা পছন্দ করে নেবে। তেমনিভাবে যারা দার্জিলিঙে থাকে তাদের প্রথম ভাষা হিসেবে নেপালি ভাষা দেওয়া হবে এবং বাকি দুটো ভাষা তারা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী নিতে পারবে।
ইন্দ্রাণী সংবাদ জগতে ৩ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বিশেষভাবে শিক্ষা এবং চাকরি সম্পর্কিত খবর তৈরি এবং পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে ভালোবাসেন। পাঠকদের শিক্ষামূলক ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত মূল্যবান তথ্য প্রদান করা তার প্রধান লক্ষ্য।