প্রতিবছর প্রাথমিক নিয়োগের জন্য প্রাথমিক টেট পরীক্ষা নিয়ে থাকে রাজ্য সরকার। কিন্তু প্রথম থেকে প্রাথমিক টেট পরীক্ষা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পরীক্ষার্থীদের রয়েছে প্রচুর অভিযোগ। আর সেই বেনিয়ম এবং দুর্নীতির ঠেলায় প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে বহুদিন ধরে হাইকোর্টে অনেক মামলা-মোকদ্দমা চলার পর ২০২২ সালে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তারপর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নতুন সভাপতি গৌতম পাল দায়িত্ব নেওয়ার পর জানিয়েছিলেন যে প্রতিবছর সেই পরীক্ষাটি নেওয়া হবে। তবে ২০২২ এরপর ২০২৩ ও কিন্তু প্রাথমিক টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল কিন্তু গন্ডগোলটা হয় 2024 সালে অর্থাৎ এই বছর। এই বছর টেট পরীক্ষা কেন নেওয়া হবে না এই বিষয় নিয়ে আজকে আলোচনা করা হয়েছে আপনারা সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়বেন।
চলতি বছরে হবে না টেট পরীক্ষা
এর আগেই শিক্ষা দপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল যে এই বছরের টেট পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল এবং সেটা পুজোর পরে নেয়া হবে। তবে কালীপুজোর পর শিক্ষাপর্ষদ নতুন করে আবার নির্দেশ দিয়েছে যে এই বছরে কোনোভাবেই নেওয়া হবে না টেট পরীক্ষা। তবে কারণ কি?
গৌতম পালের নির্দেশে ২০২২ এরপর ২০২৩ ও কিন্তু প্রাথমিক টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল তবে সেই নিয়োগের পরীক্ষা অনুযায়ী কিন্তু কোন প্রার্থীদের চাকরি এখনো হয়নি। যেহেতু আগের ২ বছর টেট পরীক্ষার চাকরি-প্রার্থীদের নিয়োগ এখনো হয়নি তাই আপাতত এই বছর পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না বলে কালীপুজোর আগে সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয় পর্ষদের পক্ষ থেকে। প্রথমে ২০২২ এবং ২০২৩ এর চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ হবে তারপর পরীক্ষা নেওয়া শুরু হবে। এই খবর শোনার পর খানিকটা হতাশ ছিলেন পরীক্ষার্থীরা তবে এরই মাঝে এল অন্য এক সুখবর।
আরও পড়ুন: গরমের ছুটির পর এবার নবান্ন থেকে সিদ্ধান্ত নিল পূজা ভ্যাকেশনের, দেখুন বিস্তারিত
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে প্রক্রিয়া শুরু
জানা যাচ্ছে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুল গুলির জন্য প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে প্রক্রিয়া শুরু করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই জন্য রাজ্যজুড়ে প্রাথমিক যে স্কুলগুলি রয়েছে বর্তমানে সেগুলিতে কতগুলো করে শূন্য পদ রয়েছে তা জানতে চায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে বলেছে প্রত্যেকটি জেলার শূন্য পদের তালিকা দিতে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ চায় পরের মাস অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই রাজ্যের থেকে শূন্য পদের তালিকা পেলেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিতে।
অপরদিকে স্কুল সার্ভিস কমিশনও কিন্তু উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। হাইকোর্টের নির্দেশে দফায় দফায় সঠিক প্রক্রিয়ায় নিয়োগ করা হচ্ছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের। আর এর সাথে সাথে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে।
ইন্দ্রাণী সংবাদ জগতে ৩ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বিশেষভাবে শিক্ষা এবং চাকরি সম্পর্কিত খবর তৈরি এবং পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে ভালোবাসেন। পাঠকদের শিক্ষামূলক ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত মূল্যবান তথ্য প্রদান করা তার প্রধান লক্ষ্য।