অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তর এর বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে তপশিলি জাতি এবং উপজাতিদের জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। তেমনই সমাজের পিছিয়ে পড়া স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য একটি স্কলারশিপ দেওয়া হয় প্রতিবছর যার নাম স্পেশাল মেরিট স্কলারশিপ। এই প্রতিবেদনে এই স্কলারশিপ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে আপনারা সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়বেন। আমরা আশা করছি যে আমাদের প্রতিবেদনটি পড়লে এই স্কলারশিপ সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা আপনাদের মনে তৈরি হবে।
অনেকেই ভাবতে পারেন এটি হয়তো একটি কাস্ট স্কলারশিপ, যা প্রতি বছর দেওয়া হয়। কিন্তু তা না সেই স্কলারশিপের নাম ওয়েসিস স্কলারশিপ সেটার আবেদন এখনো দেরী রয়েছে, এটি শুধুমাত্র SC, ST পড়ুয়াদের জন্যই স্পেশাল মেরিট স্কলারশিপ নামে পরিচিত।
এই স্কলারশিপের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিমাসে ৪০০ টাকা করে পড়াশোনার খরচ হিসেবে পাবে। অর্থাৎ বছরে ৪,৮০০ টাকা তারা পাবে। তবে আরেকটি বিষয় হলো গোটা পশ্চিমবঙ্গ মিলে ৪১০ জন SC ক্যাটাগরি এবং ৪১০ জন ST ক্যাটাগরির ছাত্র-ছাত্রী এই সুযোগ সুবিধা পাবে।
এই স্কলারশিপ ছাত্র এবং ছাত্রী উভয়ই পাবে। শুধুমাত্র নবম, দশম, একাদশ, এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা করা ছাত্র-ছাত্রীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে। এছাড়া আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় ৩৬ হাজার টাকার কম হতে হবে এবং পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। এবং সঙ্গে SC পড়ুয়াকে ৬০ শতাংশ এবং ST পড়ুয়াকে ৪৫ শতাংশ বেশি নম্বর নিয়ে পাস করতে হবে।
এই স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন ফর্ম জমা নেওয়া নিয়ে কোন অফিসিয়ালি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়নি তবে অধিকাংশ স্কুল থেকে জানা যাচ্ছে যে ২৩ শে জুলাই স্কুলে আবেদন ফর্ম জমা দেওয়ার তারিখ।
আরও পড়ুন: ঐকশ্রী স্কলারশিপের জন্য আবেদন শুরু, দেখুন নতুন পরিবর্তন কী হয়েছে
আবেদন পদ্ধতি
এই স্কলারশিপে আবেদন অফলাইনের মাধ্যমে করতে হবে। স্কলারশিপের জন্য ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলের অফিস থেকে আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করে নিয়ে তা ফিলাপ করে এবং তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যেমন আধার কার্ড, ব্যাংক একাউন্ট, কাস্ট সার্টিফিকেট, ইনকাম সার্টিফিকেট এবং রেজাল্টের জেরক্স কপি সহ অফিসে জমা করতে হবে। ইতিমধ্যেই কিন্তু অধিকাংশ স্কুলেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেওয়া হয়েছে এই ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়ার জন্য।
ইন্দ্রাণী সংবাদ জগতে ৩ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বিশেষভাবে শিক্ষা এবং চাকরি সম্পর্কিত খবর তৈরি এবং পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে ভালোবাসেন। পাঠকদের শিক্ষামূলক ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত মূল্যবান তথ্য প্রদান করা তার প্রধান লক্ষ্য।