এই প্রধানমন্ত্রীর শ্রমযোগী মানধন যোজনা চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অনেকেই এই প্রকল্পের কথা জানেনা।এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে মূলত অসংগঠিত শ্রমিকদের অবসর জীবনের কথা ভেবে। তো কি এই যোজনা? কারা কারা উপকৃত হবেন? এইসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব আপনার সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি প্রথম থেকে শেষ অব্দি পড়বেন।
Mandhan Yojana আসলে কী?
কেন্দ্র সরকার দ্বারা নির্মিত এই যোজনার নাম হলো প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনা। এই যোজনার মাধ্যমে মূলত মানুষ টাকা জমিয়ে নিজেদের ৬০ বছর বয়স হওয়ার পর সেই টাকা পেনশন হিসেবে ফেরত পায়। এই যোজনার মূল উদ্দেশ্য হলো অসংগঠিত শ্রমিক যেমন ফুটপাতের বিক্রেতা, রিক্সাচালক, নির্মাণ শ্রমিক সহ আর অন্যান্য কাজ করা শ্রমিকদের অবসর কালে যেন কোন কষ্ট না হয় সেই দিকে খেয়াল রেখেই এই প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্র সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যক্তি মাসে মাত্র ২০০ টাকা করে জমিয়ে অবসরের পরের বছরে ৩৬ হাজার টাকা করে পাবে। এই যোজনার official website অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত প্রায় ৪৪ লক্ষ মানুষ এই স্কিমে আবেদন করেছে।
কারা কারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে?
- এই প্রকল্পের জন্য সে ব্যক্তিকে অবশ্যই যে কোন অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক হতে হবে।
- এক্ষেত্রে এই প্রকল্পে যোগদানকারীর বয়স ১৮ বছর থেকে ৪০ বছর এর মধ্যে হতে হবে।
- এই প্রকল্পের যোগদান কারীর মাসিক আয় ১৫ হাজার টাকা বা তার কম হতে হবে।
- এক্ষেত্রে প্রার্থী আধার কার্ড, সেভিংস ব্যাংক একাউন্ট/ IFSC সহ জনধন একাউন্ট থাকতে হবে।
- তবে এই প্রকল্পের নাম লেখানোর পর থেকে কিন্তু সুবিধাভোগীদের প্রতি মাসে টাকা বিনিয়োগ করে যেতে হবে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত।
কত টাকা বিনিয়োগে কত টাকা দেয়?
প্রধানমন্ত্রীর শ্রম যোগী মানধণ যোজনার মাধ্যমে ব্যক্তিদের ৫৫ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে হয়। এক্ষেত্রে ব্যক্তিদের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৪০ বছর। যদি কোন ব্যক্তি ৪০ বছর বয়সেই এই যোজনায় টাকা জমাতে শুরু করে তাহলে কিন্তু তাকে ২০০ টাকা করে জমা করতে হবে। তবেই সে নিজের ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পর, মাসে ৩০০০ টাকা করে পেনশন হিসেবে পাবে। এর মধ্যে যদি সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের মৃত্যু ঘটে তাহলে তার জীবনসঙ্গী সেই পেনশনের ৫০ শতাংশ টাকা পেনশন হিসেবে পাবেন।
সুমি ডেইলি খবর বাংলার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং একজন অভিজ্ঞ সংবাদ প্রণেতা। সংবাদ জগতে তার ৩ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, রাজনীতি, এবং সরকারি প্রকল্পের উপর নির্ভরযোগ্য ও তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন তৈরি করতে সুমি বিশেষ পারদর্শী। তার কাজের প্রতি আন্তরিকতা এবং সংবাদ উপস্থাপনার দক্ষতা এই প্ল্যাটফর্মকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। পাঠকদের কাছে সঠিক ও বিশ্লেষণমূলক তথ্য পৌঁছে দেওয়াই তার প্রধান লক্ষ্য।