পলিটেকনিক কোর্স কী? এই কোর্স করলে কী কী কাজের সুবিধা পাওয়া যায়?

By Indrani Sarkar

Updated on:

পলিটেকনিক কোর্স কী

আজকের এই প্রতিবেদনে পলিটেকনিক কোর্সের সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমরা আশা করছি যে এই প্রতিবেদন থেকে আপনাদের মনে পলিটেকনিক কোর্স সম্বন্ধে একটি ধারণা তৈরি হবে। এই প্রতিবেদনে পলিটেকনিক কোর্স কি? পলিটেকনিক ভর্তির যোগ্যতা কি? কত টাকা খরচ হয় পড়াশোনা করতে? এ সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা রয়েছে। আসলে আমরা সকলেই পড়াশোনা করলেও অনেক ক্ষেত্রে অনেক কোর্সের ব্যাপারে বিস্তারিত জানি না। সেই রকমই অনেকে পলিটেকনিক কোর্সের ব্যাপারে অনেক কিছু জানে না সেক্ষেত্রে আমরা আশা করছি যে আমাদের প্রতিবেদন থেকে তারা অনেকটা উপকৃত হবে।

পলিটেকনিক কোর্স কী?

পলিটেকনিক হল একটি কোর্স যেটা তিন বছরের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স। এই কোর্স শেষ হওয়ার পরে কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিপ্লোমা ডিগ্রি লাভ করা যায়। এই কোর্সে পড়াশোনা করার পর ছাত্র-ছাত্রীরা চাকরিও করতে পারে অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং এ গ্রাজুয়েশনও করতে পারে। এই পলিটেকনিক কোর্সগুলো কিন্তু তিন বছরের হয়ে থাকে।

পলিটেকনিক কোর্স এর তালিকা

পলিটেকনিক কোর্সের কিন্তু বিভিন্ন রকম ভাগ রয়েছে। এ পলিটেকনিক এর মধ্যে একাধিক বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের ইচ্ছামত কোর্স নিয়ে পড়াশোনা করে থাকে। পলিটেকনিক এর বিভিন্ন কোর্স গুলি হল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, অটোমোবাইল।

পলিটেকনিক কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা

এই কোর্সের ছাত্রছাত্রীরা সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে ভর্তি হতে পারে। পলিটেকনিক কোর্সে ভর্তি হতে গেলে ছাত্র-ছাত্রীদের ন্যূনতম মাধ্যমিকে ৩৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করে থাকতে হবে। এছাড়াও এখানে এই কোর্সে আবেদনের জন্য নির্দিষ্ট কোন বয়সসীমা নেই। সরকারি পলিটেকনিক কলেজে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের JEXPO (জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন ফর পলিটেকনিক্স) এন্টাস পরীক্ষা দিয়ে চান্স পেতে হয়। এই পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর এর উপর ভিত্তি করেই কিন্তু একটা মেধা তালিকা তৈরি করা হয় আর সেই মেধা তালিকা অনুসারে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দমত স্ট্রিম এবং কলেজ নির্বাচন করতে পারে। তবে বেসরকারি পলিটেকনিক কলেজে JEXPO এন্ট্রাস পরীক্ষা না দিয়েও সরাসরি ভর্তি হওয়া যায়।

JEXPO পরীক্ষা কী এবং এই পরীক্ষার বিষয় কী কী?

পলিটেকনিক কোর্সে সরকারিভাবে চান্স পেতে গেলে এই পরীক্ষা দিতে হয়। এই পরীক্ষা ভালো ফলাফল করলেই পলিটেকনিক সরকারি কলেজ গুলিতে চান্স পাওয়া যায়। JEXPO পরীক্ষাটি হয়ে থাকে ১০০ নম্বরের। এই পরীক্ষায় বিষয় হলো পাঁচটি (কেমিস্ট্রি- ১০, ফিজিক্স -১০, ম্যাথমেটিক্স- ৪০, ইংলিশ -, অ্যাপটিটিউড- ২০)। এই সমস্ত বিষয় থেকে সমস্ত প্রশ্ন আসে। এই পরীক্ষার সময়সীমা দু ঘন্টা। এই পরীক্ষার প্রশ্ন গুলি MCQ টাইপ হয়ে থাকে। পরীক্ষাটি কিন্তু বাংলা ও ইংরেজি দুটি ভাষায় অফলাইনে হয়ে থাকে। এই পরীক্ষার রেজাল্টের উপরেই মেরিট লিস্ট তৈরি করা হয়।

পলিটেকনিক কোর্সে পড়াশোনার খরচ কত?

সরকারি পলিটেকনিক কলেজে পড়ার খরচ অনেকটা কম এক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের শুধুমাত্র হোস্টেলে থাকা ও খাওয়ার খরচটুকু লাগে। কিন্তু বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়াশোনার খরচ অনেকটাই বেশি। বেসরকারি পলিটেকনিক কলেজ থেকে ছাত্রছাত্রীরা এই কোর্স করলে তাদের প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা বা তারও বেশি টাকা খরচ হতে পারে।

আরও পড়ুন: আবেদন করলে ছাত্রছাত্রীরা পাবে ১০০০০ টাকা! দেখে নিন আবেদন পদ্ধতি

পলিটেকনিক কোর্সের সুবিধা

এই কোর্স করা থাকলে সরকারি বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলিতে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি সুবিধা রয়েছে। যেমন বিদ্যুৎ বিভাগ, ভারতীয় রেল, রাইফেল ফ্যাক্টরি প্রভৃতি সহ আরো বিভিন্ন সরকারি ক্ষেত্রে। এছাড়াও পলিটেকনিক কোর্স করা থাকলে বিভিন্ন রকম বেসরকারি কোম্পানিগুলোতেও সহজে চাকরি পাওয়া যায়।

Indrani Sarkar

ইন্দ্রাণী সংবাদ জগতে ৩ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বিশেষভাবে শিক্ষা এবং চাকরি সম্পর্কিত খবর তৈরি এবং পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে ভালোবাসেন। পাঠকদের শিক্ষামূলক ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত মূল্যবান তথ্য প্রদান করা তার প্রধান লক্ষ্য।