পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে Food SI পদের জন্য নিয়োগের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। সেই নিয়োগের জন্য চলতি বছরের মার্চ মাসেই রাজ্যের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে Food SI পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। পরীক্ষা তো হয়েছে। তবে এই পরীক্ষা নিয়ে উঠে এসেছে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। সে অনুযায়ী কোর্টে কেসও হয়েছে। এ সম্পর্কে আজকে সমস্ত তথ্য নিয়ে আলোচনা করব আপনার সম্পন্ন প্রতিবেদনটি পড়বেন।
চলতি বছরের গত মে মাসের ১৬ এবং ১৭ তারিখে মোট তিনটি শিফটে Food SI নিয়োগের পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষায় মোটামুটি বেশিরভাগ আবেদনকারী কিন্তু অংশগ্রহণ করেছিল। পরীক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী, তারা বলছে পরীক্ষা দিতে বসে পড়ুয়ারা দেখেন বেশ কিছু পরীক্ষার্থী অলরেডি উত্তরপত্র নিয়ে পরীক্ষা দিতে বসেছে, এছাড়াও অনেকে আবার এমনও রয়েছে যারা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছবি তুলে প্রশ্ন এবং উত্তর পাচার করছে। পরীক্ষা চলাকালীনই নাকি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন এবং উত্তর ঘোরাফেরা করছে। এই নিয়েই একাধিক মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হওয়ার পর কলকাতা হাইকোর্ট সমস্ত কিছু বিচার বিবেচনা করে ইতিমধ্যেই নিজেদের মতামত প্রকাশ করে দিয়েছে। হাইকোর্টের মতে জানা গেছে আগামী দিনে আপাতত WBPSC Food SI কোনো রকম ভাবে নিজেদের এই রিক্রুটমেন্ট অনুযায়ী নিয়োগের প্রসিডিউর চালিয়ে যেতে পারবে না। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে পাবলিক সার্ভিস কমিশন একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে তার নিজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। কলকাতা হাইকোর্ট পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল যে তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেন হাইকোর্টের দেওয়া এই বিচারের পিডিএফ সরাসরি আপলোড করে দেওয়া হয়। সে কথা মতই কিন্তু পাবলিক সার্ভিস কমিশন নিজেদের ওয়েবসাইটে হাইকোর্টের দেওয়া বিচারের পিডিএফ আপলোড করেছে।
সেই পিডিএফ অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে যে সেখানে সম্পূর্ণ ঘটনাটা উল্লেখ রয়েছে কিভাবে পরীক্ষার মধ্যে দুর্নীতি হয়েছে? কিভাবে পরীক্ষার্থীরা নিজেদের আন্দোলন করছে সমস্ত কিছু উল্লেখ রয়েছে সেখানে। শুধু তাই নয় এই নিয়োগের পরীক্ষা নিয়ে কিন্তু আদালতের বিচারপতি রাজ শেখর মান্থা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব তুলে দিয়েছে সিআইডি অফিসারের উপরে। আমাদের এই প্রতিবেদনে সেই নোটিশের পিডিএফ লিংক আমরা নীচে দিয়ে দিয়েছি সেখান থেকে আপনারা সরাসরি সেই নোটিশ দেখে নিতে পারবেন।
WBPSC নোটিশ | Download Here |
আপনি যদি বিভিন্ন রকম তথ্য এবং চাকরির আপডেট সবার আগে পেতে চান তাহলে আমাদের ‘ডেলিখবরবাংলা’ ওয়েবসাইটের Telegram এবং WhatsApp চ্যানেলটি ফলো করে রাখুন।
অমিত ডেইলি খবর বাংলার প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। পশ্চিমবঙ্গের এবং ভারতের সংবাদ সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পরিবেশন করতে অমিত সর্বদা উদ্যমী। সংবাদ সংগ্রহ এবং তা পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রতি তার আগ্রহ এবং নিষ্ঠা এই প্ল্যাটফর্মকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সেরা এবং নির্ভুল খবর প্রদানই তার প্রধান লক্ষ্য।