ইন্দ্রাণী সরকার, কলকাতা: যারা শুরু থেকে মনে করছেন যে আপনি শিক্ষক বা শিক্ষিকা হতে চান তাদের জন্য রয়েছে সুবর্ণ সুযোগ। যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে বিএড, ডিএলএড এর সম্পূর্ণ করে হতাশায় ভুগছিলেন তাদের দুশ্চিন্তার অবসান ঘটতে চলেছে। কারণ পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিশেষ শিক্ষক বা স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগের জন্য খসড়া নির্দেশিকা তৈরি করেছে। আর এই সিদ্ধান্তের খবরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র।
আবারও শিক্ষক নিয়োগ হতে চলেছে রাজ্যে
শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা বাংলা। আর এর মাঝেই রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এই প্রথম রাজ্য সরকার এই জাতীয় শিক্ষকদের জন্য শূন্য পদের ১০শতাংশ সংরক্ষন করবে। এর আগে রাজ্য চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করত। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায় ২০২৪ সালের শেষ থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে শিক্ষা দপ্তর। রাজ্য মন্ত্রিসভা নাকি এই নিয়োগের অনুমোদনও দিয়ে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন শিক্ষক নিয়োগের সংশোধনী আনছে।
নতুন নির্দেশিকা
নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নতুন নির্দেশিকার খসড়া প্রস্তুত হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ নিয়োগ পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত ওএমআর সিট অন্তত ১০ বছর সংরক্ষণ করা হবে। তার প্রধান কারণ, এই ওএমআর শিট বিতর্কেই ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি অনিশ্চিত হয়ে রয়েছে। সাধারণত ১০০ জন শিক্ষকের বিপরীতে ১৪০ জন প্রার্থীকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়। তবে এক্ষেত্রে ১০০ জনের বিপরীতে ১২০ জন প্রার্থীকে ডাকা হবে। পরীক্ষার শেষে পরীক্ষার্থীদের হাতে ওএমআর শিটের কপি তুলে দেওয়া হবে।
যোগ্যতা কি লাগবে
এবার আমরা দেখে নেব এক্ষেত্রে প্রার্থীদের যোগ্যতা কি রকম থাকতে হবে। বিশেষ শিক্ষক হওয়ার জন্য ইচ্ছুক প্রার্থীদের ভারতের পুনর্বাসন কাউন্সিলের অধীনে অনুমোদিত ইনস্টিটিউট গুলি থেকে বিশেষ বিএড বা ডি এল ইডি ডিগ্রী করা থাকতে হবে। যেহেতু এর আগে একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল যে রাজ্যের চারটি স্কুলের জন্য কমপক্ষে একজন বিশেষ শিক্ষক থাকতে হবে। এই প্রসঙ্গে প্রায় ২০,০০০ বিশেষ এডুকেটর থাকবে। তবে এতদিন স্পেশাল ডিগ্রী পাওয়া শিক্ষকেরা সাধারণ শিক্ষকের মতোই নিযুক্ত হতেন। বর্তমানে স্পেশাল বি এড বা ডিএলএড সহ সহকারী শিক্ষক হিসেবে ৩৯১ জন রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মন্ডল বলেছেন, আগে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল স্পেশাল এডুকেটেড নিয়োগ করার জন্য। শিক্ষা দপ্তর অনেক দেরি করল, যাই হোক অবশেষে স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছুটা পথ এগোল এটাই আশার। এই খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই সমস্ত ইচ্ছুক চাকরি-প্রার্থীদের মনে একটি আশার আলো জেগেছে। কারণ বেশিরভাগ জনেরই এই অপেক্ষা করতে করতে বয়স পার হয়ে যাচ্ছে।