আস্তে আস্তে দুনিয়ার গোটা পরিষেবা ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। যেখানে অতি সামান্য কাজও এখনো অনলাইনের মাধ্যমে করে নিতে হয়। করোনার পর থেকেই এই প্রয়াস যেন দিনে দিনে আরও বাড়ছে। আর যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে একাধিক নিয়মের বদল। পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেই নিয়মের সঙ্গে সঙ্গ দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার সাধারণ মানুষের খাটনি এবং হয়রানি কমানোর জন্য এক বড় এবং উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিল। এবার থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছটি সার্টিফিকেট বা সংশপত্র বাড়িতে বসে থেকে পেয়ে যাবে মানুষ, কাউকে আর সার্টিফিকেটের জন্য পঞ্চায়েত দপ্তরে ঘোরাফেরা করতে হবে না।
বাড়িতে বসেই মিলবে সরকারি সুবিধা?
সাধারণত দেখা যায় যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একটি সার্টিফিকেট বা শংসাপত্রের জন্য অনেক মানুষকে পঞ্চায়েত দপ্তরে দপ্তরে ঘুরতে হয়। কোন কোন দিন আবার কর্মীদের গাফিলতিতে সেই কাজে বিলম্ব ঘটে এবং পরে আবার আসতে হয় সেই একই কাজের জন্য। নানাভাবে অফিসারদের কাছে হয়রানির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষদের। এই সমস্যা মিটানোর জন্যই পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পন্থা নিয়ে আসতে চলেছে জানা যাচ্ছে এখন অতি সহজে গুরুত্বপূর্ণ ছয় ধরনের শংসাপত্র বাড়িতে বসে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে খুব সহজেই পেয়ে যাবে সাধারণ মানুষ। তার জন্য কোনরকম কাঠখড় পড়াতে হবে না।
আরও পড়ুন: মহিলাদের জন্য রয়েছে বিরাট আপডেট নবান্নর পক্ষ থেকে, দেখে নিন কি সেই আপডেট!
অনলাইনে কি কি শংসাপত্র মিলবে?
রাজ্য সরকার যেগুলি সার্টিফিকেট বা শংসাপত্র অনলাইন পরিষেবার মাধ্যমে দিচ্ছে সেগুলি হল জাতিগত শংসাপত্রের আবেদনের জন্য প্রধানের শংসাপত্র, ডিসটেন্স সার্টিফিকেট, ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট, ব্যক্তি পরিচয় পত্র, রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট এবং ইনকাম সার্টিফিকেট। এই সার্টিফিকেটগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সার্টিফিকেট যেগুলি পঞ্চায়েতের মাধ্যমে প্রার্থীরা পায়। তবে এবার থেকেই এই সার্টিফিকেটগুলি অনলাইনে মাধ্যমে প্রার্থীরা খুব সহজেই পেয়ে যেতে পারবে। তবে এই সার্টিফিকেট গুলি পাওয়ার জন্য বেশ কিছু নিয়ম অবলম্বন করতে হবে প্রার্থীদের।
বেশ কিছু নিয়ম
গুরুত্বপূর্ণ সার্টিফিকেটগুলি অনলাইনের মাধ্যমে পেতে গেলে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। এছাড়া অনলাইনে এসব সার্টিফিকেট পাওয়ার ক্ষেত্রেও কিছু প্রক্রিয়াও রয়েছে। প্রথমত এগুলো পেতে গ্রাহকের মোবাইল নম্বরসহ কিছু তথ্য নথিভুক্ত করতে হবে। তারপর মোবাইল নম্বরে OTP গেলে তারপর সেই শংসাপত্র নিতে পারবেন গ্রাহক। রাজ্য সরকারের এইরকম সিদ্ধান্তে বেশ খুশি হয়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে এই প্রক্রিয়া কবে থেকে শুরু হবে সেই ব্যাপারে এখনো কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি অফিশিয়াল ভাবে।