হাজার হাজার পড়ুয়া এখনো পায়নি তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের টাকা! দেখুন নয়া আপডেট

প্রতিবছর ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল ফোন কেনার জন্য ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয় তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের মাধ্যমে। এই চলতি বছরেও নবান্নের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল যে দুর্গাপূজোর আগেই পড়ুয়াদের টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। যদিও সেপ্টেম্বর মাসেই রাজ্য সরকারের এই টাকা দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির কারণে সেই সিদ্ধান্ত তখন স্থগিত রাখা হয়েছিল। তবে রাজ্য সরকারের কথা অনুযায়ী দূর্গা পূজার আগেই ছাত্র-ছাত্রীদের এই মোবাইল ফোন কেনার টাকা দেওয়া শুরু হয়েছিল এবং অনেক ছাত্রছাত্রীকে এই টাকা দিয়েও দিয়েছে। প্রায় ১৬ লক্ষ পরুয়ার একাউন্টে ১০০০০ করে টাকা দেওয়া হবে তার জন্য মোট ১৩৩ কোটি ৫৭ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে সরকারের অর্থ বাজেটে। অনেকে অভিযোগ তুলছে যে দীপাবলি এসে গেলেও বেশিরভাগ পড়ুয়ারা নাকি এই ট্যাব কেনার টাকা এখনো পায়নি। কারণ কি? তা নিয়ে আজকের এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হয়েছে আপনারা সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়বেন।

জানা গেছে, দুর্গাপূজার আগেই রাজ্য সরকার তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুল গুলির উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর প্রায় 16 লক্ষ পড়ুয়াদের টাকা দিতে শুরু করে। তবে এবারই প্রথম রাজ্য সরকার একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর সব পড়ুয়াকেই কিন্তু এই টাকা দিচ্ছে। তবে জানা গেছে যে অনেক ছাত্রছাত্রীর ব্যাংক একাউন্টে এখনো টাকা না ঢোকার কারণে অনেকটাই ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এই খবর পাওয়ার পরে শিক্ষা দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে সরকারি পোর্টালে যাদের নাম রয়েছিল তাদের টাকা দেওয়া হয়েছে, যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের নাম সরকারি পোর্টালে নথিভুক্ত করা নেই সেজন্যই এই জটিলতা তৈরি হয়েছে।

কি বলছেন স্কুল পরিদর্শক?

দক্ষিণ ২৪ পরগনার পরিদর্শক নজরুল হক সিপাই জানান যে তাদের জেলায় ১,১৫,০০০ হাজারের মতো পড়ুয়াদের টাকা পাওয়ার কথা ছিল। তবে সেখানে নাকি তার মধ্যে 4500 এর মতো পড়ুয়া এখনো পর্যন্ত সেই টাকা পায়নি। কবে দ্রুতই তারা টাকা পেয়ে যাবে সরকারি প্রকল্পের এমন গাফেলতি দেখে বেশ ক্ষুব্ধ বাংলার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। সেই সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মন্ডল বলেন যে, বিদ্যালয় গুলোর পরিকাঠামো উন্নয়ন করতে ও শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করতে যদি এর দশ ভাগের একভাগ তৎপরতা দেখাতো, তাহলে এই রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাটা বেঁচে যেত। সরকারের অর্থ অপচয় কিভাবে করতে হয় তা এই সরকারের কাছ থেকে শেখা উচিত।

বিকাশ ভবনের নতুন পদক্ষেপ

শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জেলার এখনো প্রায় চার থেকে ছয় হাজার পড়ুয়ার ব্যাংক একাউন্টে এখনো পর্যন্ত টাকা পৌঁছায়নি। তার পেছনে অন্যতম কারণ হলো অনেক ছাত্রছাত্রীর ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নম্বর ভুল দিয়েছে, আবার অনেকে অন্যের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে ফেলেছে এরপরে অনেকের টাকা ভুল জায়গায় চলে গিয়েছে তাদের এই সমস্যার সমাধান করতে চলেছে বিকাশ ভবন। শিক্ষা দপ্তর আরও জানিয়েছে যে ৩০ অক্টোবর থেকে সব পড়ুয়ার একাউন্টে টাকা দিয়েছে কিনা তা নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করা হবে এই এবং সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে শিক্ষা দপ্তর।

Amit Sarkar

অমিত ডেইলি খবর বাংলা ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ৫ বছর ধরে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত অমিত। তিনি চাকরির এবং পরীক্ষার রেজাল্ট বিষয়বস্তু খবর সম্পর্কিত তথ্য তৈরি করতে এবং আপনাদের শেয়ার করতে ভালোবাসেন। অমিত সবসময় চেষ্টা করে আপনাদের সেরা এবং সঠিক খবর প্রদান করার।

শেয়ার করুন: