রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আবাস যোজনার সার্ভে প্রায় শেষের পথে, এই আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা প্রদান করা হবে পরের মাসেই। তাই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আবাস যোজনার বিষয় নিয়ে তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। সেই তালিকায় নাম উঠেছে বাদ পড়া উপভোক্তাদের, আবার অযোগ্য ব্যক্তিদের নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে, আর তাই ক্ষোভ বাড়ছে জনগণের মধ্যে। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভূমিহীনদের জন্য একটি বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। কি সেই সিদ্ধান্ত? তাই নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে আপনারা সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়বেন।
বড় সিদ্ধান্ত ভূমিহীনদের জন্য
ভূমিহীনদের জন্য সরকার এক বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে। কারণ অনেক গরিব মানুষ রয়েছে যাদের জমি নেই কিন্তু তারা আবাস যোজনার আওতায় বাড়ি পাওয়ার যোগ্য। এই সকল উপভোক্তাদের জমির পাট্টা দেওয়া হবে তারপর বাড়ি তৈরি করার জন্য টাকাও দেওয়া হবে। আর এই ভাবেই গরিব মানুষদের মাথার ছাদ তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন। নবান্ন সূত্রে খবর জানা গেছে যে এই বছরের ডিসেম্বর মাসের ২০ তারিখের মধ্যে আবাস যোজনার তালিকায় থাকা উপভোক্তাদের টাকা দেওয়া হবে, যে সমস্ত প্রার্থীর নাম সে তালিকায় রয়েছে তারা সকলেই প্রথম কিস্তির টাকা তাদের নিজেদের ব্যাংক একাউন্টে পেয়ে যাবেন।
১০০ দিনের কাজ নিয়েও বড় উদ্যোগ
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার আবাস যোজনার মাধ্যমে রাজ্য সরকার নিজেদের কোষাগার থেকে ১০০ শতাংশ টাকা দিচ্ছে বাড়ি তৈরি করার জন্য। যাতে কোন ভূমিহীন পরিবার এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত না হয় সেটা নিশ্চিত করতে এমন উদ্যোগ নিতে চাইছেন। এদিকে কেন্দ্র সরকারের উপরে বারবার প্রশ্ন উঠছে, তারা দু বছর ধরে এই আবাস যোজনার টাকা কেন আটকে রেখেছেন? জানা গিয়েছে ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে কিন্তু কেন্দ্র সরকারের কাছে বারবার চিঠি পাঠিয়েও কোন লাভ হয়নি। তাই এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের অপেক্ষা না করে নিজেদের কোষাগার থেকে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা দিতে চলেছে।
আরও পড়ুন: আবাস যোজনার নিয়ম শিথিলের সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার, বাদ গেল বহু সংখ্যক মানুষের নাম
অন্যদিকে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেছেন, যে সমস্ত প্রার্থীদের জমি নেই অর্থাৎ ভূমিহীনদের জমি দেওয়ার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ দিয়েছেন যে যারা আবাস যোজনা পাওয়ার যোগ্য কিন্তু ভূমিহীন বলে সেই টাকা পাচ্ছে না, তাদের নিকটবর্তী সরকারের খাস জমি থাকলে সেখান থেকে জমি দেওয়া হবে।
সুমি ডেইলি খবর বাংলা ওয়েবসাইটের সহ প্রতিষ্ঠাতা। সুমির সংবাদ জগতে তিন বছরের বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। সে সরকারি প্রকল্প বিষয় বস্তু সম্পর্কিত খবর তৈরি করতে এবং আপনাদের শেয়ার করতে ভালোবাসেন। সুমি সবসময় চেষ্টা করে আপনাদের সেরা এবং সঠিক খবর প্রদান করার।