ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আবার একটি নতুন করে স্কলার্শিপের আয়োজন করা হয়েছে। সীতারাম জিন্দাল ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে এই স্কলারশিপটি দেওয়া হবে যার নাম “সীতারাম জিন্দাল স্কলারশিপ”। এই স্কলারশিপ দেওয়ার প্রধান লক্ষ্য হল মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা যাতে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে তার সুবিধা প্রদান করা। বিশেষ করে যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা আর্থিকভাবে দুর্বল তারা যাতে বিনা বাধায় নিজেদের পড়াশুনা চলে যেতে পারে তার জন্য এই স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্রতিবেদনে এই স্কলারশিপ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে আপনারা সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়বেন।
সুচিপত্র
স্কলারশিপের কয়েকটি বিভাগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা পর্যায় অনুযায়ী স্কলারশিপ দেওয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে মোট প্রধান পাঁচটি বিভাগে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। তাহলে চলুন এবারে স্কলারশিপ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সীতারাম জিন্দাল স্কলারশিপের বিভাগ
স্কলারশিপের প্রধান পাঁচটি বিভাগে দেওয়া হয় সেগুলি হল-
- A বিভাগ – স্কলারশিপের জন্য নবম ও দশম শ্রেণীর ইসলামিক ছাত্র-ছাত্রীরা আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে ছাত্রদের ৬৫% নম্বর নিয়ে এবং ছাত্রীদের ৬০% নম্বর নিয়ে পাস করতে হবে।
- B বিভাগ- উচ্চ মাধ্যমিক বা তার সমমানের কোর্সে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার রেজাল্টে ছাত্রদের ৬৫% এবং ছাত্রীদের ৬০% নম্বর থাকতে হবে।
- C বিভাগ- আইটিআই বা ডিপ্লোমা কোর্সের ছাত্রদের নুন ৬৫% এবং ছাত্রীদের নূন্যতম ৭% নম্বর থাকতে হবে।
- D বিভাগ- স্নাতক স্তরের ছাত্র-ছাত্রী যেমন B.A, B.Com, B.Sc ইত্যাদি কোর্সে পড়াশোনা করা ছাত্রদের ন্যূনতম ৬৫% এবং ছাত্রীদের নূন্যতম ৬০% নম্বর থাকতে হবে।
- E বিভাগ- কারিগরি, চিকিৎসা, বিজ্ঞান, এমবিএ এবং পোস্ট গ্রাজুয়েশন পড়া ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে ছাত্রদের জন্য নূন্যতম ৭৫% নম্বর এবং ছাত্রদের জন্য অনুরোধ করা ৭০% নম্বর থাকতে হবে।
সীতারাম জিন্দাল স্কলারশিপের মাধ্যমে কত টাকা পাওয়া যাবে
সীতারাম জিন্দাল স্কলারশিপ ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রেণী ও কোর্সের ওপর নির্ভর করে দেওয়া হয়ে থাকে। তবে প্রতিবছর ৫০০০ হাজার টাকা থেকে ৫০,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত স্কলারশিপ হিসেবে দেওয়া হয়ে থাকে ছাত্রছাত্রীদের। এই স্কলারশিপের মেয়াদ ছাত্র ছাত্রীর শিক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত চালু থাকে।
কারা পাবে এই সীতারাম জিন্দাল স্কলারশিপ
এই স্কলারশিপ ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাগত পারফরম্যান্স এবং পারিবারিক আর্থিক অবস্থার ওপর বিবেচনা করে দেওয়া হয়ে থাকে। সাধারণত যে সমস্ত গ্রামের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের পরিবারের বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার নীচে এবং শহরে শহরের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পারিবারিক বার্ষিক আয় তিন লক্ষ টাকার নীচে তারা আবেদন করতে পারবে। এই স্কলারশিপের আবেদন সারা বছর করা যেতে পারে, এর কোনো শেষ তারিখ নেই। তবে এক্ষেত্রে কিন্তু পড়ুয়াদের রেজাল্ট ভালো করতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া
স্কলারশিপ এর জন্য শিক্ষার্থীরা অনলাইন, অফলাইন এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারে। এক্ষেত্রে আবেদন করার জন্য শিক্ষার্থীদের কোনরকম আবেদন মূল্য দিতে হবে না। এর জন্য সবার প্রথমে সেই সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ওয়েবসাইটে যাওয়ার পর নির্ধারিত ফর্ম সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করে তার প্রিন্ট আউট বের করে নিতে হবে। তারপর প্রিন্ট আউট করা কপি এবং সঙ্গে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর ফটোকপি একসঙ্গে যুক্ত করে সংস্থার নির্দিষ্ট ঠিকানায় জমা করতে হবে।
আরও পড়ুন: Infosys Scholarship: ছাত্র-ছাত্রীদের স্কলারশিপ দেবে ইনফোসিস কোম্পানি
স্পীডপোস্টের মাধ্যমে আবেদন পাঠানোর ঠিকানা
The Trustee, Sitaram Jindal Foundation, Jindal Nagar, Tumkur Road, Bengaluru 560073.
আবেদন পত্র | Download Form |
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট | sitaramjindalfoundation.org |
কৌশিকের সংবাদ জগতে চার বছরের বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি শিক্ষা বিষয় বস্তু সম্পর্কিত খবর তৈরি করতে এবং আপনাদের শেয়ার করতে ভালোবাসেন। কৌশিক সবসময় চেষ্টা করে আপনাদের সেরা এবং সঠিক খবর প্রদান করার।