কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক স্কলারশিপ হিসেবে দিচ্ছে ১২০০০ টাকা, আবেদন চলবে অক্টোবরের ৩১ তারিখ পর্যন্ত

বর্তমানে যে হারে জিনিসের দাম বাড়ছে তাতে অনেকেরই সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালানো আলাদা একটা চাপ। তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে সংসারে অভাব অনটনের কারণে পরিবারের মেধাবী ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করতে পারছে না বা হঠাৎ করে তাদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেই সমস্ত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের কথা চিন্তা করেই এবার কেন্দ্র সরকার দিতে চলেছে পড়ুয়াদের ১২০০০ টাকা করে স্কলারশিপ। যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা টাকা পয়সার অভাবে নিজেদের পড়াশোনায় এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছে না মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও, মূলত তাদেরকেই পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য কেন্দ্র দেবে ১২০০০ করে টাকা। আজকের এই প্রতিবেদনে এই টপিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আপনারা সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়বেন।

NMMSS Scholarship

আসলে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল ছুটের প্রবৃত্তি রূখতে বিশেষ স্কলারশিপ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। যে স্কলারশিপ এর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের বারো হাজার টাকা করে দেওয়া হবে সেই স্কলারশিপ এর নাম হলো ‘ন্যাশনাল মিনস-মেরিট স্কলারশিপ স্কিম’ (NMMSS)। শিক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর জানা গেছে যে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১ লাখ স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে। ২০২৪-২৫ সালের ন্যাশনাল মিনস-মেরিট স্কলারশিপ স্কিমের জন্য সারা দেশ থেকে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা ৩১ শে অক্টোবর পর্যন্ত নিজেদের আবেদন জানাতে পারবে। তবে জানা গেছে যে এখনও পর্যন্ত ৮০ হাজারেরও বেশি নতুন শিক্ষার্থী এই বৃত্তির জন্য আবেদন করেছে। তাই তোমরা যারা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে চাইছ তারা চট জলদি নিজেদের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নাও।

NMMSS স্কলারশিপ এ আবেদনের নিয়ম

এক্ষেত্রে আবেদন করতে হলে শিক্ষার্থীদের প্রথমে এনএসপি পোর্টালে এককালীন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর তাদের নির্বাচিত ভিত্তি প্রকল্পের জন্য আবেদন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করতে হবে। যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পর্যন্ত পড়াশোনা করছে এবং অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের এই স্কিমের সুবিধা দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: IPS Officer হতে চান? দেখে নিন শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স সীমা, শারীরিক যোগ্যতা বিস্তারিত

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

  • স্কলারশিপে টাকা শিক্ষার্থীরা সরাসরি নিজেদের ব্যাংক একাউন্টে পেয়ে যাবে।
  • স্কলারশিপ পাবলিক ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর পরে ডিভিডি মোডেল করে বৈদ্যুতিন স্থানান্তরের মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।
  • যে সমস্ত শিক্ষার্থীর পারিবারিক বার্ষিক আয় ৩,৫০,০০০ টাকার মধ্যে, তারাই এই স্কলারশিপের সুবিধা পাবে।
  • এই স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য বাছাই পরীক্ষায় বসতে হয় শিক্ষার্থীদের।
  • স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য বাছাই পরীক্ষায় বসতে হলে প্রার্থীদের সপ্তম শ্রেণির পরীক্ষার নূন্যতম 55 শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। তবে তপশিলি জাতি, উপজাতি পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে ৫% ছাড় রয়েছে।
  • শিক্ষার্থীদের আবেদন গুলি দুটি স্তরের মধ্য দিয়ে যাচাই করা হয়। একটি স্কুল স্তরে ইনস্টিটিউট নোডাল অফিসার দ্বারা এবং দ্বিতীয়টি জেলা নাদাল অফিসার দ্বারা যাচাই করা হয়।

কৌশিকের সংবাদ জগতে চার বছরের বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি শিক্ষা বিষয় বস্তু সম্পর্কিত খবর তৈরি করতে এবং আপনাদের শেয়ার করতে ভালোবাসেন। কৌশিক সবসময় চেষ্টা করে আপনাদের সেরা এবং সঠিক খবর প্রদান করার।

শেয়ার করুন: